দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে বিক্ষোভ আইএনটিইউসি-র
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৫ আগস্ট:
একেই বলে বোধহয় প্রদীপের নিচে অন্ধকার। একদিকে ঝাঁ চকচকে করা হচ্ছে হাসপাতাল আর অন্যদিকে সেই হাসপাতালেরই পরিষেবার মান ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। এরকমটাই অভিযোগ করা হচ্ছে শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি অনুমোদিত হিন্দুস্তান স্টিল ওয়ার্কাস ইউনিয়নের। সোমবার এই সংগঠনের পক্ষ থেকে হাসপাতাল সংক্রান্ত ২৩ দফা দাবি নিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেন হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যার নেতৃত্ব দেন সংগঠনের যুগ্ন সম্পাদক রজত দীক্ষিত।
একদিকে, মার্বেলস লাগিয়ে হাসপাতালের সৌন্দর্য বাড়ানো হচ্ছে অথচ অন্যদিকে রোগীদের চিকিৎসার মান কমছে,খাবারের মান কমছে, প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাব,অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের চিকিৎসায় যথাযথ নজর না দেওয়া, নার্স ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ না করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই সব দাবি সহ মোট ২৩ দফা দাবি নিয়ে সোমবার বিকেলে ইস্পাত হাসপাতালের এমারজেন্সি গেটে বিক্ষোভে সামিল হলেন আইএনটিইউসি অনুমোদিত হিন্দুস্থান স্টিল ওয়ারকার্স ইউনিয়নের সদস্যরা। তারা তাদের দাবির সমর্থনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক রজত দীক্ষিত অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে রোগী পরিষেবা একেবারেই বেহাল। রোগীদের খাবারের মানও ভালো নয়,গাইনোলজি ও সার্জারি বিভাগে নার্স ও ডাক্তারের অভাব থাকা সত্বেও নিয়োগ করা হচ্ছে না ফলে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে আউটডোর চিকিৎসায় আরও উন্নত করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেছেন, রোগীরা সময় মতো হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাও পায় না। হাসপাতালে ওষুধ কাউন্টার আরও বাড়ানোর দাবিও করা হয়েছে এদিনের বিক্ষোভে। রজতবাবুর অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখানে কোনো নিয়োগ বা নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে ইউনিয়নের সঙ্গে কোনো আলোচনা করে না। তিনি বলেছেন, আমরা দাবি জানিয়েছি এবার থেকে কর্মী নিয়োগ এবং হাসপাতালের ক্ষেত্রে কোনো নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেবিষয়ে আগে ইউনিয়নকে জানাতে হবে এবং আমাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতালের বর্তমান পরিষেবা নিয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ করেছেন, “এসবের মাধ্যমে ডিএসপি হাসপাতালকে বেসরকারীকরনের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। এটা আমরা কোনভাবেই হতে দেব না”। বিক্ষোভের শেষে সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালের ডাইরেক্টর ( হেলথ এ্যান্ড মেডিকেল) সৌভিক রায়ের হাতে তাদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি তুলে দেন। জানা গেছে, দাবিগুলির বিষয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন সৌভিক রায়।