ফের বিতর্ক দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে, ড্রেনে পড়ে মৃত্যু চিকিৎসাধীন যুবকের
আমার কথা, পশ্চিম বর্দ্ধমান, ১৬জুলাইঃ
ফের সংবাদের শিরোনামে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগে হাসপাতাল সুপারের বদলির ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতে ফের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠল, আর এবারের অভিযোগ গাফিলতির মাশুল গুনতে হল এক রোগীর প্রাণ দিয়ে। হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর মৃত্যু হল হাসপাতালের বাইরে একটি ড্রেনে পরে। আর এই রোগীর মৃত্যুতে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
দুর্গাপুরের গণতন্ত্র কলোনির বাসিন্দা বছর তেত্রিশের যুবক সৌমেন রায় গত ১৪ জুলাই ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। যুবকের বাবা সন্তোষ দাস জানান তাঁর ছেলে নেশা করত। নেশার কারনে অসুস্থ হয়ে পরায় তাঁকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। কিন্তু আজ সকালে সুভাষপল্লী এলাকায় একটি ড্রেন থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই যুবকের শরীরে স্যালাইনের চ্যানেল করা ছিল যা নিয়ে তৈরী হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে শরীরে স্যালাইনের চ্যানেল নিয়ে একজন রোগী হাসপাতালে সকলের নজর এড়িয়ে কি করে বেরিয়ে যায়?
ওই যুবকের মা সুচিত্রা দাস জানান গতকাল যখন তিনি তাঁর ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে গেছিলেন তখন তাঁর ছেলে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছিল। এরপর খবর পেয়ে আজ সকালে এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় তাঁর ছেলের মৃতদেহ ড্রেনের থেকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনেই তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন সুচিত্রাদেবী।
প্রসঙ্গতঃ দিন দুয়েক আগে প্রসূতি বিভাগের এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তাকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। তথ্য গোপন ও কোভিড প্রটোকল না মানার অভিযোগে সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা। এরপর গতকাল সুপার দেবব্রত দাসের বদলি হয়ে যায়। ফের আবার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এক রোগীর মৃত্যু ঘটলো। একটি সরকারী হাসপাতালে পর পর এরকম দুটি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ঘটনায় বেশ নিন্দার ঝড় বয়ে যায় শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে।