অন্ডালে ধসের জায়গা পরিদর্শেণে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিডিও ও থানার আধিকারিক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৭জুলাইঃ
চলতি মাসের ১৫ তারিখ অন্ডালের হরিশপুর গ্রামের প্রধান রাস্তায় বিশাল আকারের ধস নামে। ফলে হরিশপুর গ্রাম দুই নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয় অন্ডালের টপ লাইন থেকে হরিশপুর হয়ে বহুলা, হরিপুর যাবার রাস্তও, আর ধসের প্রধান কারণ হিসেবে গ্রামবাসীরা জানান, গ্রাম ইসিএলের খোলামুখ খনি। সেদিনই প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ইসিএলের কিছু আধিকারিক ঘটনাস্থলে এলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালে সমস্যার সমাধানের কোনো রাস্তা বের না করেই নিজেদের বিক্ষোভের মুখ থেকে বাঁচাতে পালিয়ে যান।
আজ শুক্রবার সেই এলাকার পরিদর্শনে যান অন্ডাল বিডিও ঋত্বিক হাজরা ও অন্ডাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পার্থ ঘোষ। তারাও আজ গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
গ্রামবাসী নিমাই গোপ জানান দীর্ঘ দিন ধরে গ্রামের মানুষ পুনর্বাসন চাইছেন কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারণে সেটা হচ্ছে না। ধসের পর থেকেই গ্রামের মানুষ এক প্রকার আতঙ্কের দিন কাটাচ্ছেন। নিমাই বাবু বলেন এভাবে চলতে থাকলে যদি প্রশাসনের বা শাসক দলের কেউ গ্রামের মানুষের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে প্রাণ বাঁচাতে গ্রাম বাড়ি,ঘর ছেড়ে জঙ্গলে বাস করতে বাধ্য হবে। গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মত আজকেও আবার গ্রামের বেশ কিছু পাকা বাড়িতে ফাটল দেখা দিতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বাতী দত্ত অভিযোগ করেন এর আগেও এই গ্রামে ধসের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু গ্রামের মানুষের পাশে কখনোই দাঁড়ায়নি শাসক দলের লোকেরা, দাঁড়ায়নি প্রশাসনও। তিনি আরো বলেন কিছুদিন আগেই অন্ডালের জামবাদে ধসের কবলে একটা বাড়ির সঙ্গে তলিয়ে যায় এক জন মহিলা, আজ যদি তাদের গ্রামের কোনো বাড়ি ফের ধসের কবলে পড়ে মাটির তলায় তলিয়ে যায় তার দায় কে নেবে ?
এই ধসে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে প্রশাসনের তরফে বিডিও ,থানার আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও কিন্তু এই ধসের মূল কারণ ইসিএল, তাদের তরফে আজকেও কাউকে ঘটনাস্থলে দেখতে পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের আধিকারিকরা বিক্ষোভের মুখে পড়লে গ্রামবাসীদের সাথে শেষমেশ বৈঠকে বসেন।