আরজি কর কান্ড,সমাজ মাধ্যমে পুলিশকে কটাক্ষ করে পোস্ট, পাল্টা সরব পুলিশও
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৩০ আগস্টঃ
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে থামছে না বিতর্ক। বিরোধীদের নিশানাই রয়েছে তৃণমূল । আর সমাজ মাধ্যমে নেটিজেনদের একাংশ সরব পুলিশের বিরুদ্ধে । কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিচ্ছে পুলিশও। সমাজ মাধ্যমে জমে উঠেছে নেটিজেন ভার্সেস পুলিশের লড়াই।
আরজি কর কান্ড নিয়ে প্রথম দিন থেকে সোচ্চার রয়েছে নাগরিক সমাজ। পাশাপাশি এই আন্দোলনে নজর কেড়েছে মহিলারাও। ঘটনার প্রতিবাদে ও মহিলাদের স্বাধীনতার দাবিতে ১৪-ই আগস্ট “মেয়েরা রাত দখল করো” কর্মসূচিতে নেমেছিল মহিলাদের ঢল। অতীতে কখনো এরকম স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন সংগঠিত হয়নি বলে দাবি অনেকের। সমাজের বিভিন্ন অংশের নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন দেখে উজ্জীবিত হয়েছে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো। নাগরিক সমাজের আন্দোলনকে সমর্থনের পাশাপাশি বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো নিজেরাও নেমেছে আন্দোলনে। বিরোধীদের নিশানায় রয়েছে রাজ্য সরকার ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি সরকার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে বিরোধীদের অভিযোগ। একদিকে পথে ঘাটে যেমন ঘটনার তদন্ত, দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চলছে, তেমনি সম্প্রতি সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমেও । সমাজ মাধ্যমে নেটিজেনদের একাংশ সরব হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। “পুলিশ তুমি চুরি পরো / তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়” লেখা পোস্ট জ্বলজ্বল করছে সমাজ মাধ্যমে নেটিজেনদের একাউন্টে। অনেকেই এই পোস্টে লাইক, কমেন্ট করছে । ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে পুলিশের বিরুদ্ধে । রাজ্যের পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে, তাই পুলিশের চুড়ি পড়ে বসে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করছে একাংশ। অবশ্য পুলিশের সমর্থনেও মন্তব্য করছে নেটিজেনদের অন্য অংশ।
গত দু-তিন দিন পুলিশকে কটাক্ষ করে সমাজ মাধ্যমে প্রচার চলছিল এক তরফা ভাবে। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে কটাক্ষ সমালোচনার বিরুদ্ধে পুলিশও সরব হয়েছে। “পুলিশ তুমি চুরি পড়ো / তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়” – এর জবাবে “পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো / সে লড়াই করেই হচ্ছে বড়”- পুলিশ হাতিয়ার করেছে এই স্লোগানকে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই স্লোগান লেখা পোস্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীদের নিজস্ব দেওয়ালে। পুলিশের সমর্থনে একজন নেটিজেন লিখেছেন “পুলিশ মারা ভদ্রলোক,তোমার ঘরেও পুলিশ হোক / তখন তুমি বুঝবে সব, ঘুমের ঘোরেও গিলবে ঢোক”। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন অহেতুক পুলিশকে টার্গেট করা হচ্ছে । তবে এটাই নতুন নয়, যে কোন ঘটনাতেই সাধারণ মানুষের সফট টার্গেট হচ্ছে পুলিশ। আমরাও চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক, ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পাক। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় পুলিশও যে রক্ত মাংসের মানুষ সেটা সমাজের একাংশ বোঝে না। নীরব থাকলে পুলিশকে টার্গেট করে একতরফা প্রচার চলবে। তাই বাধ্য হয়েই কোন কোন পুলিশ আধিকারিক, পুলিশ কর্মী পাল্টা প্রচারের পথ নিয়েছে বলে মত তার।