বেনাচিতিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত, বাজার খুলে রাখার সময়সীমা কমল
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৮জুলাইঃ
দুর্গাপুরে ক্রমশ বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ক্কে না আক্রনাত হচ্ছে করোনায় এই শহরে। বুধবার অর্থাৎ গতকালও এক ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিষয়টি জানার পরেই বেনাচিতি বাজার খুলে রাখার সময়সীমাতে কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুর বনিক সভা। এখন থেকে বিকেল পাঁচটার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হবে দুর্গাপুরের সব থেকে ব্যস্ততম এই বাজার।
বেনাচিতি বাজারের আনন্দ গোপাল মুখার্জী সরনির একটি কমপ্লেক্সের কর্ণধার তথা একটি সোনার দোকানের মালিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই কমপ্লেক্সটি সিল করে দেওয়া হয়। কমপ্লেক্সটতে রয়েছে পোষ্ট অফিস, দুটি ব্যাংক, কয়েকটি বীমা সংস্থার দপ্তর। এছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি দোকানও। সমস্তটাই বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সোনার দোকানের ২২জন কর্মীর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় বাজার সহ আশেপাশে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তাদের আতঙ্ক এটাই যে ওই সোনার দোকানের মালিকের থেকে আরো কতজনের মধ্যে সংক্রমন ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।
এদিকে বাজার থেকে সংক্রমন ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল তাই দুর্গাপুর বনিক সভার পক্ষ থেকে এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয় যে এবার থেকে বিকেল পাঁচটার পর বাজার বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে ওই মার্কেট কমপ্লেক্স ও আশেপাশের কিছু দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাটিকে জীবানুমুক্ত করার কাজও শুরু হয়েছে।