জেলার ব্যারাজগুলি থেকে বাড়ছে জল ছাড়ার পরিমাণ, নিম্ন অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা?
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৬ সেপ্টেম্বরঃ
শনিবারের পর রবিবারেও টানা বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাধিক জায়গা। বেশিরভাগ জায়গা জলমগ্ন। কোথাও কোথাও সমস্যা আরও বেশি। জল যন্ত্রণায় দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ। দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারে রবিবার সকাল দশটা নাগাদ ঝোড়ো হওয়ার ফলে ভেঙে পড়ে একটি বড় গাছ। দুর্গাপুর আদালতে যাওয়ার রাস্তায় বড় গাছটি ভেঙে পড়ে। যার ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে রবিবার ছুটির দিন থাকায় সমস্যা কিছুটা কম হয়েছে। অন্যদিকে আসানসোলে নিয়ামতপুরের প্রিয়া কলোনি পুরোপুরিভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তার উপর উঠেছে জল। জলমগ্ন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আরও বৃষ্টিপাত হলে বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি জলমগ্ন শহরের নিচু এলাকাগুলি। অন্য দিকে, টানা বৃষ্টিপাতের জেরে খনি অঞ্চলের ফরিদপুর এলাকায় মূল রাস্তার সামনে ধস নামতে দেখা যায়। গত শনিবার ফরিদপুর থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে এই ধ্বস দেখা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ইসিএল আধিকারিকরা। রবিবারও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে খনি অঞ্চলে ধসের আতঙ্ক প্রবল। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে শনিবারের পর রবিবারও ভারী বৃষ্টিপাত দেখা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরও সেই পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিল। ফলে মাইথন, পাঞ্চেত, দুর্গাপুর ব্যারেজের মতো জলাধারগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত নিম্ন অববাহিকার মানুষরা। অতি বৃষ্টির কারণে দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়ে এখন ৮৪.৫৫০ কিউসেক। তবে এই জল ছাড়ার পরিমান পাঞ্চেত বা মাইথনের জল ছাড়ার কারণে নয় বলে সেচ দপ্তর সূত্রে খবর। গত ২৪ ঘন্টায় দুর্গাপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ৭০ মিলিমিটার। আসানসোলে বৃষ্টির পরিমাণ ১৫১. ৪০ মিলিমিটার। এদিন মাইথন জলাধার থেকে ১০হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয় বলে ডিভিসি সূত্রে খবর। এছাড়া পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৩৫হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে ডিভিসি সূত্রে খবর। পশ্চিম বর্ধমানে অতি বৃষ্টির কারনেই দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে। এই বৃষ্টিতে বেশ কাকসা সহ বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। বৃষ্টিতে রাস্তায় মানুষের সংখ্যা কম। এই বৃষ্টির জের জলমগ্ন হয়েছে চাষের জমি ও।