দুর্গাপুরে বিশ্বকর্মা পুজোর জলসা বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, গ্রেফতার ৯
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৯ সেপ্টেম্বর:
এনভিএফ হেডকোয়ার্টারে বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে জলসা বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। গ্রেপ্তার চার পশ্চিমবঙ্গ এনভিএফ কর্মী সহ ৯। আক্রান্ত পুলিশের এসআই ভর্তি দুর্গাপুরের বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত বারোটায় দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ভলেন্টিয়ার ফোর্সের (এনভিএফ) হেডকোয়ার্টারের ভেতর বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে তারস্বরে লাউড স্পিকার বাজিয়ে জলসা চলছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে সেই খবর পেয়ে কোকওভেন থানার সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এনভিএফ হেডকোয়ার্টারে পৌঁছায়। লাউড স্পিকার বন্ধ করার কথা জানাতেই পুলিশের এএসআই সঞ্জয় ঘোষের উপর হামলা চালায় মদ্যপ অবস্থায় এনভিএফ-এর কর্মীরা। তারপরেই কোক ওভেন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারজন এনভিএফের কর্মীসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। ধৃতরা হল
এনভিএফ এর
১.শীতল দাস
২.নুরমান মিদ্যা
৩.মনসা রাম সরেন
৪.যোগেশ্বর গড়াই
ইলেকট্রিশিয়ান ও সাউন্ডম্যান
১.বিবেক রায়
২.আস্তিক ধীবর
৩.সুদীপ্ত রায়
৪.চন্দন লোহার
৫.দেবদাস কুন্ডু
আসানসোল দুর্গাপুরপুলিশ কমিশনারেটের এসিপি দুর্গাপুর সুবীর রায় বলেন,”বুধবার রাতে প্রচন্ড জোরে লাউড স্পিকার বাজানো হচ্ছিল এনভিএফ হেডকোয়ার্টারের বাউন্ডারিতে। সেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পৌঁছতেই মদ্যপ অবস্থায় তাদের ওপর হামলা চালায় এনভিএফএর কর্মীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় এএসআই সঞ্জয় ঘোষকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের তদন্ত চলছে। এই ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি এনভিএফের আধিকারিকরা।