কাঁকসায় দামোদর তীরবর্তী প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে জেলাশাসক
আমার কথা, কাঁকসা, ২২ সেপ্টেম্বর:
গত কয়েকদিন আগে প্রবল বৃষ্টির ফলে ডিভিসি থেকে দামোদর নদের জল ছাড়ায় তীরবর্তী স্থানগুলি প্লাবিত হয়। হুগলি ও মেদিনীপুরের পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার আমলাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এবং দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের সিলামপুরে বেশ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যদিও ওই এলাকা থেকে দামোদর নদের জমা জল পরে বেরিয়ে গেলেও এলাকায় দামোদরের জল ঢোকার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন বহু বাসিন্দা। সেই সমস্ত এলাকাগুলি রবিবার বিকাল ৪টা নাগাদ পরিদর্শন করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক এস পোন্নামবলম, দুর্গাপুর মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাঁকসার বিডিও পর্ণা দে, কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নব কুমার সামন্ত, কুলদীপ সরকার, আমলা জোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কণিকা বাগদি, উপপ্রধান নাসিম আলি মীর সহ পঞ্চায়েতের কর্মীরা।
কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কুলদীপ সরকার জানিয়েছেন, কত কয়েক দিন আগে প্রবল বৃষ্টির ফলে ডিভিসি থেকে ছাড়া জলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিলামপুর এলাকা জনমগ্ন হয়ে পড়ে। এলাকায় জল ঢুকে যাওয়ার ফলে বহু বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এদিন প্রশাসনের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করার পর তারা জানিয়েছেন। শীঘ্রই একটি দল গোটা এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানের একটি তালিকা তৈরি করবে। সেই তালিকা অনুযায়ী এলাকার যে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ রয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে সরকার থেকে।।
আমলাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নাসিম আলী মির জানিয়েছেন। এলাকায় জল ঢোকার দিন থেকেই তারা রাত জেগে নজরদারি চালিয়েছিলেন।ওই সময় এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ার ফলে তারা সকল মানুষকে নিরাপদ স্থানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। এদিন প্রশাসনের আধিকারিকরা পরিদর্শন করে তারা দ্রুত যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পায় তার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়ে গেছেন। তবে আগামী দিনে আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে নিম্নচাপের আগাম সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। সেইমতো তারাও সতর্ক থাকবেন এবং সরকার যেভাবে তাদের পাশে রয়েছে আগামী দিনেও মানুষের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।