স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল স্বামী, দোষী সাব্যস্ত দুর্গাপুর আদালতে
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৭ অক্টোবর:
সাত বছর পরে দোষী সাব্যস্ত হলেন স্বামী। বিচারক তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিলেন।
ঘটনাটি দুর্গাপুরের বেনাচিতির উত্তরপল্লীর। ২০১৭ সালে স্ত্রীকে সন্দেহের বসে খুন করে বাড়ির মেঝেতে পুঁতে তার ওপর টাইলস বসিয়ে দিয়ে ছিলেন স্বামী।
অভিযোগকারীদের পক্ষের সরকারী আইনজীবি তুষার ব্যানার্জি জানান, উত্তরপল্লীর বাসিন্দা তরুণ রায়ের বাড়িতে স্ত্রী রীনা বেগম ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভাড়া থাকতেন বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা হায়দার। পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন হায়দার। হায়দার তাঁর স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন যে রীনা বেগমের অন্য কোনো ব্যাক্তির সাথে সম্পর্ক রয়েছে। স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করে হায়দার। এরপর ছেলেমেয়েকে সে বীরভূমে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপএ স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে দেয়। সাথে গল্প ফাঁদে তাঁর স্ত্রী দশ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। এমনকি পুলিশের কাছে স্ত্রী নিখোঁজের ডায়েরীও করেন। কিন্তু দিন কয়েক পরেই বাড়িওয়ালার কাছে হায়দার ফোন করে স্ত্রীকে খুনের বিষয়টি জানান। তরুণবাবু পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে কংক্রিটের মেঝে ভেঙ্গে রীনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। যদিও পরবর্তী কালে হায়দারের ফোনে স্ত্রীকে খুনের বিষয়টি অস্বীকার করেন বাড়িওয়ালা তরুণ রায়। এরপর তদন্তে নেমে সিটিসেন্টার বাস স্ট্যান্ড থেকে হায়দারকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকেই বিচার চলছিল দুর্গাপুর আদালতে। সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক প্রশান্ত চৌধুরী হায়দারকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেন সাথে দশ হাজার টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত: সেই সময় দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ছিলেন তীর্থেন্দু গাঙ্গুলী। যেহেতু রীনা বেগমের বাবার বাড়ি বীরভূমে তাই দুর্গাপুর থানার পুলিশ স্বত:প্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করে। কেসে আসামীর পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পরেশ ঘোষ ও তদন্তকারী অফিসার ছিলেন বর্তমান পাঞ্জাবী মোড় ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ দলুই।