জাল লটারির টিকিটের কারবার রুখতে পুলিশী অভিযান
আমার কথা, অন্ডাল, ২১ অক্টোবর:
লটারির বিরুদ্ধে অভিযান চালালো পুলিশ। বনবাহাল হাঁড়ির পুলিশ এদিন অভিযান চালায় বিভিন্ন এলাকাতে। তল্লাশি করা হয় বিভিন্ন লটারির দোকানে। অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে বলে জানাই পুলিশ।
বেশ কিছুদিন ধরেই খনি অঞ্চলের অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে জাল লটারি টিকিট বিক্রির রমরমা। বৈধ কোম্পানির লটারির টিকিটের আড়ালেই চলছে এই কারবার বলে অভিযোগ। সূত্র মারফত জানা যায় এই খেলাটি নিয়ন্ত্রিত হয় প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে। তাই এই লটারি টিকিটটি ঝাড়খন্ড লটারি নামে পরিচিত। সীমানা পেরিয়ে বিভিন্ন এজেন্টের হাত ঘুরে সেই টিকিট পৌঁছে যাচ্ছে খনি এলাকাতে। দু’ধরনের বিক্রেতাদের মাধ্যমে এই টিকিট পৌঁছায় ক্রেতাদের হাতে। এক, যারা দোকানে বৈধ লটারি টিকিট বিক্রি করে তারা বৈধ টিকিটের আড়ালেই এই কারবার চালাচ্ছে। দুই, কিছু খুচরো লটারি টিকিট বিক্রেতা আছে যারা সাইকেলের করে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে টিকিট বিক্রি করে। তারাও এই টিকিট বিক্রি করছে বলে অভিযোগ । সোমবার এই অবৈধ লটারির বিরুদ্ধে অভিযানের নামে অন্ডাল থানার বনবহাল পুলিশ।
আইসি অভিজিৎ সিং রায় এর নেতৃত্বে এদিন অভিযান চলে এলাকার গাইঘাটা, শীতলপুর, বহুলা বাজার, মতি বাজার, সিদুলি, হরিপুর বাজার সহ একাধিক জায়গাতে। বিভিন্ন লটারির দোকানে ঢুকে তল্লাশি চালানো হয়। যদিও এদিনের অভিযানে কোন অবৈধ টিকিট উদ্ধার হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সম্ভবত অভিযানের খবর আগাম ছড়িয়ে পড়াতেই টিকিট বিক্রেতারা সাবধান হয়ে যায় বলে ধারণা। তবে ধারাবাহিকভাবে অবৈধ লটারির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানান বনবহাল ফাঁড়ির আইসি অভিজিৎ সিংহ রায়। তবে শুধু বনবহাল এলাকাতেই নয় পার্শ্ববর্তী উখড়া ও খান্দরা এলাকাতেও অবৈধ লটারির টিকিট বিক্রির রমরমা বেড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এইসব জায়গা তো অভিযানের দাবি জানান বাসিন্দাদের একাংশ।