দুর্গাপুর মহিলা কো-অপারেটিভ ব্যাংকের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ঝামেলা, অবরোধ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১২ নভেম্বরঃ
সকাল থেকে হুলুস্থুল দুর্গাপুর সিটি সেন্টার এলাকা। দুর্গাপুর মহিলা কো-অপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল সিপিআই(এম)। আজ মঙ্গলবার গন্ডগোল শুরু হয় বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। সিপিআই(এম) থেকে অভিযোগ করা হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা তাঁদের মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়েছে, মারধর করে, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। প্রতিবাদে সিটি সেন্টার বাস স্ট্যাড মোড়ে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শেষবারের মতো দুর্গাপুর মহিলা কো-অপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচন হয়েছিল। দীর্ঘ ১২ বছর পর ফের এই ব্যাংকে নির্বাচন হতে চলেছে আগামী ১লা ডিসেম্বরে। মোট ৩৩টি আসনের জন্য মনোনয়ন জমা পড়েছে ৩৫টি। সদস্য সং্খ্যা ৬৫০০। এই নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব শুরু হয়েছে গতকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে। মনোয়ন প্রত্যাহারের দিন ১৮ নভেম্বর।
আজ মঙ্গলবার সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে শুরু হয় ঝামেলা। তাঁদের অভিযোগ, শাসকদলের পক্ষ থেকে তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের দিকে।
সিপিএম অভিযোগ করেন,”মহিলা কোঅপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আজ। সকাল থেকে আমরা যখন মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য যাই তখনই আমাদের বাধা দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমাদের মারধর করে। মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পুলিশ তবুও নিশ্চুপ। তাই আমরা বাধ্য হয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করেছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়বো না।
এ বিষয়ে সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও সেখানেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন মালতি প্রামানিক নামে এক বাম কর্মী। তিনি বলেন, আমরা মনোনোয়ন জমা দিতে পারিনি বলে মহকুমা শাসকের কাছে সহযোগিতা চাইতে এসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের আটকে দিলো।
মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অসীমা চক্রবর্তী বলেন, “ওনারা যে অভিযোগ করছেন আজকের ডিজিটালের যুগে তার কোথাও কোনো ছবি বা ভিডিও ওনারা দেখাতে পারবেন? আসলে মানুষ ওনাদের নেবে না সেটা বুঝেই ওনারা লাইনে না দাঁড়িয়ে রাস্তায় বসে গেছেন”।