কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড ওসি
আমার কথা, আসানসোল, ২২ নভেম্বরঃ
অপেশাদার মানসিকতা ও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বারাবনি থানার আধিকারিক। পাশাপাশি থানার ভেতর এক তৃণমূল নেতার ধুমধাম করে জন্মদিন পালনের অভিযোগও রয়েছে এই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশ আধিকারিকদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে নীচু তলার পুলিশ কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। অবৈধ কয়লা, বালি পাচার নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। এইসব কাজেও নীচু তলার পুলিশ কর্মীদের একাংশের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ। এদের কারণেই সরকারকে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী উষ্ম প্রকাশ করেন বলে খবর। যারা এই সকল অবৈধ কাজে মদত দিচ্ছে বা নিষ্ক্রিয় রয়েছে ব্যবস্থা নিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি ও সিট, আন্টি করাপশন বিভাগকে ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজিব কুমারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে শুরু হয়ে যায় তৎপরতা। বৃহস্পতিবার রাতেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনস্থ বারাবনি থানার ওসিকে মনোরঞ্জন মন্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়। অপেশাদার মানসিকতা ও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর । তার বিরুদ্ধে ১৯৪৩- PRB act এর 1-880/881 ও WBSR (1) 71 ধারাতে সাসপেন্ডের পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে তাই তাঁকে এখন পুলিশ ব্যারাকেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর তাঁর সার্ভিস রিভলভার জমা করতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, কালীপুজোর আগে শাসকদলের এক ব্লক অধ্যক্ষের জন্মদিন পালন করা হয় ওসির ব্যবস্থাপনায় বারাবনি থানার ভেতর। বিষয়টি নিয়ে সরব হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তবে তখন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো। সম্প্রতি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বেশ কিছু আধিকারিক ও কর্মীর বদলির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে । সেই তালিকায় নাম রয়েছে সাসপেন্ড ওসি মনোরঞ্জন মন্ডলেরও। বারাবনি থানা থেকে বদলি হয়ে তাকে ওসি করা হয় অন্ডাল থানার । সাসপেন্ড হওয়ায় এখন তার পরিবর্তে অন্ডাল থানার ওসি কে হন এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। উল্লেখ্য সুত্রের খবর, মনোরঞ্জন মণ্ডল ছাড়াও এডিপিসির আরো বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।