দুর্গাপুর উৎসবে স্থানীয় শিল্পীদের এবার বিশেষ গুরুত্ব
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৪ নভেম্বরঃ
দুর্গাপুর উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় শিল্পীদের যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল, সেই ক্ষোভকে প্রশমিত করতে উদ্যোগী হল উৎসবের উদ্যোক্তারা। এবারে শিল্পাঞ্চলের শিল্পীরাও সেই মঞ্চই পাবেন নাচ গান প্রদর্শণের জন্য যেখানে বাইরের নামী দামি সঙ্গীত শিল্পীরা তাদের সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। অর্থাৎ এবারে দুটি নয় একটিই মাত্র মঞ্চ তৈরী করা হচ্ছে যেখানে স্থানীয় ও বহিরাগত সব শিল্পীরা মিলে মিশে নৃত্য বা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন।
৬-ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় বর্ষ “দুর্গাপুর উৎসব”, চলবে ১৫ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে, গত বছরের মত চিত্রালয় সংলগ্ন রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল ময়দানে। রবিবার খুঁটি পুজো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হল উৎসবের প্রস্তুতির কাজ। এদিন খুঁটিপুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, তৃণমূল বিধায়ক তথা উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দুর্গাপুর পুরসভার পুরমাতা রাখি তেওয়ারি সহ উৎসব কমিটির কর্তা ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য গত বছর প্রথম দুর্গাপুর উৎসব হয়েছিল ১৫ দিন ধরে, এবার উৎসব চলবে ৯ দিন। উৎসবে মোত ৯০টি স্টল করা হচ্ছে। এবারের উৎসবের থিম “ডেস্টিনেশন দুর্গাপুর” বা “চলো যাই দুর্গাপুর”।
দুর্গাপুর বনিকসভার সদস্য তথা দুর্গাপুর উৎসব কমিটির সদস্য রমাপ্রসাদ হালদার জানান, “দুর্গাপুরের উদিয়মান, প্রতিভাবান স্থানীয় শিল্পী রয়েছেন তাঁদের জন্য অবশ্যই ভাবা হয়েছে। একটা কালচারাল কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটির সাথে যোগাযোগ করতে হবে স্থানীয় শিল্পীদের। তাদেরও জায়গা দেওয়া হবে। গতবারের মতো এবারে দুটি পৃথক মঞ্চ করা হচ্ছে না। একই মঞ্চে সকলকে সম মর্যাদার সাথে আমরা রাখার চেষ্টা করেছি।
প্রসঙ্গতঃ প্রথম বছরের দুর্গাপুর উৎসবে মূল মঞ্চের থেকে কিছুটা দূরে আরো একটি মঞ্চ করা হয়েছিল, যেখানে দুর্গাপুরের স্থানীয় শিল্পীরা তাঁদের শিল্প শৈলো প্রদর্শণ করেন। মূল মঞ্চে বহিরাগত নামি শিল্পীরা ছাড়া স্থানীয়দের কোনো জায়গা হয়নি আর এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি স্থানীয় শিল্পীরা। আর তা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভও তৈরী হয়েছিল শিল্পাঞ্চলের শিল্পীদের মনে।