দুর্গাপুরে আয়োজিত ম্যারাথনের পুরষ্কার নিয়ে গেল উত্তরপ্রদেশের প্রতিযোগীরা
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১২ জানুয়ারী:
উত্তরপ্রদেশের জয়জয়কার। ম্যারাথনের পুরুষ ও মহিলা বিভাগের সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের দৌড়বিদরা। রবিবার দুর্গাপুর ক্লাব সমন্বয় আয়োজিত ম্যারাথন দৌড়ে পুরুষ বিভাগে প্রথম হন উত্তরপ্রদেশের হরিওম তেওয়ারি। একই রাজ্যের অশ্বিন দ্বিতীয় স্থান দখল করেন। তৃতীয় স্থানেও উত্তরপ্রদেশের রঞ্জিত কুমার। মহিলা বিভাগের প্রথম স্থানে উত্তরপ্রদেশের রুবি কাশ্যপ। দ্বিতীয় স্থানে স্বাতী পাল সহ একই রাজ্যের গরিমা যাদব তৃতীয় স্থান দখল করেন। শহীদ ভগৎ সিং স্টেডিয়ামে দুই বিভাগের সফল প্রতিযোগীদের হাতে নগর নগদ পুরস্কার সহ পদক ও শংসাপত্র তুলে দেন এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথা অর্জুন ও পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া, ক্লাব সমন্বয়ের স্পোর্টস কার্নিভালের মুখ্য উপদেষ্টা তথা বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, ক্লাব সমন্বয়ের সভাপতি সন্দীপ দে সহ বিশিষ্টজনেরা। তবে সফল প্রথম ১০ জন প্রতিযোগী ছাড়াও ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককেই পদক এবং শংসাপত্র প্রদান করা হয় ক্লাব সমন্বয়ের তরফে। এদিন, এই ম্যারাথনে মহিলা বিভাগে দশম স্থানাধিকারী দুর্গাপুরের দৌড়বিদ মৌমি সিনহার সাফল্যে রীতিমত উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায় অনুষ্ঠান মঞ্চে। দুর্গাপুর অ আ ক খ ক্লাবের এই ক্ষুদে অ্যাথলেটকে ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কৃত করেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ পঙ্কজ রায় সরকার। বলাই বাহুল্য, দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার দৌড় শেষে দুর্গাপুর আর্যভট্টের অ্যাথলেট সাবির খান হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুস্থ হতেই বিধায়ককে ধন্যবাদ জানান সাবির। এদিন, এই ম্যারাথনে উত্তরপ্রদেশের জয়জয়কার প্রসঙ্গে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধের বাংলা। তাই জাতি,ধর্ম,বর্ণ ভেদাভেদের কোন স্থান নেই। বিশেষ করে খেলার ময়দানে বাংলা বা বহির্বাংলার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানান তিনি। রবিবার এ ধরনের ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজনে উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। একইসঙ্গে এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সাফল্য কামনা করেন তিনি। উল্লেখ্য, স্বামী বিবেকানন্দর ১৬৩ তম জন্মদিবস উপলক্ষে দুর্গাপুর ক্লাব সমন্বয়ের এই ম্যারাথন দৌড় ঘিরে সাধারণ মানুষজনের উৎসাহ, উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।