কাঁকসার জঙ্গলে ঢুকলো দুটি হাতি,এলাকায় আতঙ্ক,নজিরদারিতে বনদফতর
আমার কথা, কাঁকসা, ১৬ জানুয়ারীঃ
বাঁকুড়া থেকে দামোদর নদ পার করে কাঁকসার জঙ্গলে ঢুকলো দুটি হাতি।এলাকায় হাতি ঢোকার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে।বুধবার রাতে হাতি দুটি দামোদর নদ পার করে ঢোকে কাঁকসার রাজবাঁধ এলাকায়।সেখান থেকে ভোর বেলায় জাতীয় সড়ক পার করে ঢোকে গোপালপুরে।এর পর কাঁকসার গোপালপুর হয়ে সারেঙ্গার জঙ্গলে ঢোকে।সারা দিন সেখানেই তারা অবস্থান করে।যেহেতু এলাকার সমস্ত মাঠ থেকে ফসল তুলে নেওয়া হয়েছিলো তাই ফসলের কোথাও কোনো ক্ষয় ক্ষতি হয় নি।জঙ্গল লাগোয়া আদিবাসী গ্রাম গুলি হয়ে হাতি দুটি জঙ্গলে ঢুকলেও কোথাও কোনো তারা ক্ষয় ক্ষতি করে নি বলেই জানা গিয়েছে।তবে হাতি ঢোকার খবর চাউর হতেই এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।অন্যদিকে খবর পেয়েই ভোর থেকেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতরের আধিকারিকরা।তারা হাতি দুটির উপর নজর রাখে।ও গোটা জঙ্গল ঘিরে রাখে।
মানদা সোরেন জানিয়েছেন, ভোরবেলায় দেখি একটি হাতি বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছে।আর একটি বাঁশের বেড়া ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকে উঠানে রাখা একটি কড়াই এর উপরে পা দিয়ে সেটি ভেঙে দিয়ে সোজা পুঁই সাকের মাচা তে শুঁড় দিয়ে সমস্ত গাছ টেনে নিয়ে মাটির পাঁচিল ভেঙে বাইরে বেরিয়ে যায়।যদিও এই ঘটনার পর থেকেই তারা আতঙ্কে রয়েছেন এবং বন দফতরের কেউ তাদের বাড়িতে খোঁজ করতেও আসে নি বলে অভিযোগ।
গোপালপুর বিট অফিসার কিশলয় বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন,দুটি হাতি ঢুকেছে কাঁকসায় গভীর রাতে।ভোরে সারেঙ্গার কাছে জঙ্গলে এসে ঢুকে পড়ে।রাজবাঁধে ঢোকার সময়েই তারা খবর পেয়ে এলাকায় মাইকিং করতে শুরু করে দেয়।
বর্ধমান ডি এফ ও সঞ্চিতা শর্মা জানিয়েছেন,বাঁকুড়া থেকে দলছুট দুটি পুরুষ হাতি এলাকায় ঢুকেছে।মূলত খাবার সন্ধানেই তারা এলাকায় ঢুকেছে।যেহেতু মাঠে ধান নেই তাই কোনো ক্ষতি তেমন হয় নি।হাতি দুটি জঙ্গলে ঢুকে পড়ার কারণে তাদের দেখা যায় নি।তবে যে সমস্ত রাস্তা দিয়ে তারা হেঁটে এসেছে সেই সমস্ত চিন্হ দেখে বোঝা গেছে হাতি দুটি পুরুষ হাতি।জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবার পেয়ে গেলে তাঁদের ফের বাঁকুড়া পাঠাতে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে।বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৫টি হুল্লা পার্টিকে আনা হয়েছে যারা হাতি তাড়াতে পারদর্শী।দিনের বেলায় তাদের সরানো না গেলেও সন্ধ্যা নামলেই হুল্লা পার্টি দিয়ে হাতি দুটিকে ফের দামোদর পার করে বাঁকুড়ায় ফেরৎ পাঠানো হবে।কারণ হাতি যে পথ ধরে আসে সেই পথ ধরেই তারা ফেরৎ যায়। জানা গিয়েছে আগেও বহুবার একই ভাবে দামোদর পার করে কাঁকসার জঙ্গলে হাতি ঢুকে পড়েছিল।কখনো একটি কখনো আবার ২৩টি। প্রতিবারই সন্ধ্যার পর সেই হাতিদের ফেরৎ পাঠানো হয়েছিল।