খনি এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার্থে তৈরি হতে চলেছে বৈদ্যুতিন চুল্লি
আমার কথা, পান্ডবেশ্বর, ২১ জানুয়ারী:
অজয় নদের পাড়ে পাণ্ডবেশ্বর মহাশ্মশানে বসবে ইলেকট্রিক চুল্লি। মঙ্গলবার সেই কাজের শিলান্যাস করলেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। প্রকল্পটি রূপায়ণের ফলে শবদাহ করতে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের সুবিধা হবে বলে জানান তিনি।
দুর্গাপুরের বীরভানপুর ও রানীগঞ্জ সংলগ্ন মেজিয়া শ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লির ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে শবদাহের জন্য এতদিন খনি অঞ্চলের মানুষজনকে যেতে হতো সেখানে। কিন্তু খনি এলাকা থেকে এই দুটি জায়গার দূরত্ব যথেষ্ট বেশি। এবার অবশ্য সেই সমস্যা থাকবে না, কারন অজয় নদের পাড়ে পাণ্ডবেশ্বর শ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর প্রকল্প নিয়েছে উখরা রোটারি ক্লাব। প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে “দে গ্রুপ” নামে একটি বেসরকারি সংস্থা সিএসআর প্রকল্পে তারা এই টাকা অনুমোদন করেছে। প্রকল্পটির নামকরণ করা হয়েছে “দে গ্রুপ” এর প্রয়াত কর্ণধার তথা শিল্পপতি বলরাম দে এর নামে “বলরাম দে মেমোরিয়াল ক্রেমেটোরিয়াম নামে। মঙ্গলবার পাণ্ডবেশ্বর শ্মশান ঘাটে প্রকল্পটি রূপায়ণের কাজ শুরু হল। কাজের সূচনা করলেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, দে গ্রুপ সংস্থার দুই কর্ণধার বিশ্বদ্বীপ দে, সন্দীপ দে সহ অন্যরা।
উখড়া রোটারি ক্লাবের পক্ষে বিশাললাল সিং হান্ডা জানান এখানে দুটি ইলেকট্রিক চুল্লি থাকবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সেটি পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির হাতে হস্তান্তর করা হবে। ২০২৬ সালে জানুয়ারির মাস থেকে এখানে শবদাহ করা যাবে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন প্রকল্পটি রূপায়ণের ফলে শুধু পাণ্ডবেশ্বর নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বীরভূম জেলার মানুষজনও এর সুবিধা পাবে। এদিন প্রকল্পটির শিলান্যাস করার কথা ছিল রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের। কিন্তু তিনি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি, বলে জানানো হয় রোটারি ক্লাবের পক্ষ থেকে।