দেনার দায়ে আত্মঘাতী দুর্গাপুরের সোনার দোকানের ম্যানেজার?

আমার কথা, দুর্গাপুর, ৬ ফেব্রুয়ারীঃ
অবশেষে দামোদরের জল থেকে উদ্ধার হল দুর্গাপুরের প্রসিদ্ধ সোনার দোকানের ম্যানেজারের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারেজের বিসর্জন ঘাটের কাছে দেহটি ভেসে ওঠে। গতকাল বিকেল থেকে ওই ব্যাক্তি নিখোঁজ ছিলেন।
দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে একটি নামকরা সোনার দোকানে ম্যানেজার পদে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়(৫৬) ওরফে লক্ষ্মণ নামে ওই ব্যাক্তি। ইস্পাত নগরীর বিজোনের তানসেন এভিন্যু এলাকাতে পরিবারের সাথে বসবাস করতেন সিদ্ধার্থবাবু।
পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেল ৫টা তিনি চা খেতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে সিদ্ধার্থবাবুর স্ত্রী দেখতে পান তিনি তাঁর মানিব্যাগ থেকে শুরু করে সমস্ত সোনার অলঙ্কার, এমনকি মোবাইল ফোনটিও বাড়িতে রেখে গেছেন। এরপর তাঁরা চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে বিজোন ফাঁড়িতে রাত ১২টা নাগাদ মিসিং ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে।
এদিকে আজ সকালে যখন দেহটি পাওয়া যায় তখন স্থানীয়রা প্রথমে কোকওভেন থানায় খবর দেয়। কিন্তু যেখানে দেহটি মেলে তা বড়জোড়া থানার অন্তর্গত বলে ঘটনাস্থলে আসে বড়জোড়া থানার পুলিস। দেহটি উদ্ধার করার পর স্থানীয়দের কাছে নাম পরিচয় জানার জন্য পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেও ফল কিছু মেলে না। এরপর বড়জোড়া থানা থেকে বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করা হলে সিদ্ধার্থবাবুর নিখোঁজের বিষয়টি জানা যায়। এরপর সিদ্ধার্থবাবুর স্ত্রী দেহটি সনাক্ত করে নিশ্চিত করেন।
পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, সিদ্ধার্থবাবুর বাড়ি থেকে তাঁর লেখা একটি সুইসাইড নোট মিলেছে, যাতে লেখা রয়েছে “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়”। যদিও কি কারনে তিনি আত্মঘাতী হলেন সে ব্যাপারে সিদ্ধার্থবাবুর পরিবার কিছু বলতে পারেওননি। তবে সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, লটারি কেনারও নেশা ছিল তাঁর, মার্কেটে অনেক ধার দেনা হয়ে গিয়েছিল সিদ্ধার্থবাবুর। তাহলে কি সেই কারনেই কি তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন? সিদ্ধার্থ মুখোপধায়ায়ের পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও এক পুত্র।