খনি আধিকারিকের শখের বাগান ভরে উঠেছে মরশুমি শাক, সবজি, ফুল, ফলে

আমার কথা, অন্ডাল, ১৪ ফেব্রুয়ারীঃ
কর্মস্থলের ফাঁকা জমিতে বাগান তৈরি করেছেন আধিকারিক। আর সেই বাগান এখন ভরে উঠেছে মরশুমি শাক সবজি আর ফলে। এই বাগানের মালি বাঁকোলা এরিয়ার কোল ল্যাবটারির কেমিস্ট অমিত ব্যানার্জি স্বয়ং নিজে। তার তৈরি সবুজ বাগানের প্রশংসা করেছেন ঊর্ধ্বতন আধিকারিকেরাও।
খনি সংস্থা ইসিএল, সংস্থার আধিকারিক কর্মী শ্রমিকরা কর্মস্থলে আসেন কাজ করেন ফিরে যান আবাসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠের মানসিকতা এরকম হলেও ব্যতিক্রমী থাকেন দু একজন। যারা নির্দিষ্ট সময় কাজ করার পরও বাড়তি কিছু করার তাগিদ অনুভব করেন। এরকমই একজন বাঁকোলা এরিয়ার কোল ল্যাবটারির সিনিয়র কেমিস্ট অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকোলা এরিয়ার সিআইএসএফ ক্যাম্পের সামনে এরিয়া কোল ল্যাবটারি অফিস। এই অফিসই অমিতবাবুর কর্মস্থল । অফিস ক্যাম্পাসের চারপাশে রয়েছে বেশ কিছু ফাঁকা জমি। সেই জমিতে বাগান তৈরি করেছেন তিনি। বেল, আখ, আম সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাতাবাহার গাছ রয়েছে বাগানে। পাশাপাশি মরশুমী ফুল, ফল, শাক সবজির চাষও হয়। শীতের সময় বাগানে ফলে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস সহ বিভিন্ন প্রজাতির শাক সবজি। টিস্যু কালচারের মাধ্যমে ওইসব ফুল, ফল, শাকসবজি গাছের চারা ও তৈরি করা হয় । সবই নিজের হাতে করেন অমিত বাবু। তার বাগান ঘুরে প্রশংসা শোনা গেছে আধিকারিকদের মুখেও । অমিতবাবু জানান ক্যাম্পাসে ফাঁকা জমি পড়েছিল সেই জমিতেই বাগান তৈরি করেছি । ৯ টা পাঁচটা কাজের সময় । কাজের নির্ধারিত সময়ের আগে ও পরে বাগান পরিচর্যার কাজ করি। বাগানে শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করা হয় । এতে ফুল ফল শাক সবজির স্বাদ যেমন সুস্বাদু হয় তেমনি শরীরের পক্ষেও স্বাস্থ্যকর। আগামী দিনে এই বাগানে নতুন কিছু প্রজাতির ফল শাক সবজির চাষ করা পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।
উখড়া ফরেস্ট রেঞ্জের এক আধিকারিক বলেন ইচ্ছে থাকলে ছোট পরিসরেও সবুজায়ন সম্ভব, যেটা অমিতবাবু করে দেখিয়েছেন। প্রকৃতিকে বাঁচাতে গাছ লাগানো একান্ত প্রয়োজন অমিতবাবুর বাগান দেখে অনুপ্রেরিত হয়ে অন্যরাও এগিয়ে এলে আখেরে পরিবেশেরই লাভ হবে বলে জানান তিনি।