বামুনাড়ায় মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা? বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার জোড়া মৃতদেহ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২২জুলাইঃ
বন্ধ ঘরের থেকে বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাওঞ্চল্য ছড়ালো দুর্গাপুরের বামুনাড়ার বিবেকানন্দ পার্কে। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে হাসয়াতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কাঁকসা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন এসিপি(কাঁকসা) শাশ্বতী শ্বতা সামন্ত।
বিবেকানন্দ পার্কের সি ব্লকে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন নিপেন্দু চক্তবর্তী(৫৮)। নিপেন্দুবাবুর মেয়ে নেহা(১৫) শারীরিকভাবে অক্ষম। আজ সন্ধ্যের পর নিপেন্দুবাবুর শ্যালক তার জামাইবাবুর বাড়িতে যান। গিয়ে দরজায় বারংবার আওয়াজ করলেও কেউ দরজা না খোলে না। তিনি জানান যে ঘরের ভেতর থেকে বৈদ্যুতিক পাখা চলার আওয়াজ পান। তিনি নিপেন্দুবাবুর মোবাইলে বার বার ফোন করলেও কেউ ফোন তোওলে না। এতে সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন। কাঁকসা থানার পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে দেখে নিপেন্দুবাবু গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন আর তার মেয়ে বাথরুমের বাথটাবে মুখ গুঁজে উপুড় হয়ে পরে রয়েছে। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পায় পুলিশ যাতে লেখা রয়েছে মেয়ের কারনে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। স্বভাবতই এই সুইসাইড নোটের বয়ান থেকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সম্ভবতঃ মেয়েকে নিজের হাতে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা।
এদিকে নিপেন্দুবাবুর স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন বলে কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর এ জোনে দাদার বাড়িতে গিয়ে থাকছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী নিপেন্দুবাবু কি তাহলে মেয়েকে নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন আর তার জেরেই মেয়েকে নিজের হাতে খুন করে তারপর নিজের জীবন শেষ করে দিলেন? ময়নাতদন্তের পর পুরো বিষয়টি সঠিকভাবে জানা যাবে বলে জানান এসিপি(কাঁকসা) শাশ্বতী স্বেতা সামন্ত।