থাইল্যান্ডে কিকবক্সিং বিশ্বকাপে সুযোগ দুর্গাপুরের আরাধ্যার, খরচ জোগাতে হিমসিম বাবা মায়ের

আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৫ মার্চঃ
দেশের মাটিতে বিগত মাসে নিউ দিল্লী তে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায় তিন তিনটি স্বর্ণপদক পাবার পরই এবার থাইল্যান্ডে কিকবক্সিং বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ এল দুর্গাপুরের মাএ ৯বছর বয়সী “সোনার মেয়ে” আরাধ্যা ধীবরের। আগামী এপ্রিল মাসের ৭তারিখ থেকে থাইল্যান্ড দেশে কিকবক্সিং এর আসর বসতে চলেছে যেখানে প্রায় ৩০টির অধিক দেশের খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করতে চলেছে। আয়োজক দেশ থাইল্যান্ড ছাড়াও ফ্রান্স,স্পেন, তুরস্ক, ডেনমার্ক, ইসরায়েল,মরিশাস,মরক্কো, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান, জার্মানি,আয়ারল্যান্ড, এস্টোনিয়া, ভারত ইত্যাদি দেশের আন্তর্জাতিক স্তরের খেলোয়াড়রা একে অপরের সাথে ম্যাচ খেলবে।
দুর্গাপুরের আরাধ্যা চাইল্ড ক্যাটাগরি তে -৩৬ ও +৩৬ বিভাগে পয়েন্ট ফাইট ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবে দেশের হয়ে। তবে বিদেশের মাটিতে খেলতে যাওয়া বিশাল খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার । রেজিস্ট্রেশন ফিস,আন্তর্জাতিক মানের সরঞ্জাম, যাতায়াত বাবদ প্রায় লক্ষাধিক টাকার খরচ। ভারতের কিকবক্সিং ফেডারেশন “ওয়াকো ইন্ডিয়া” কিছু খরচ বহন করলেও বেশির ভাগ খরচ খেলোয়াড়কেই জোগাতে হয়।কেউ কেউ স্পনসরশিপ এর মাধ্যমেও খেলতে যায়। ক্রিকেট,হকির মত এখনো কিকবক্সিং খেলা জনপ্রিয় না হবার জন্য স্পনসর রা এগিয়ে আসেনা। এমনই কথা জানিয়েছেন আরাধ্যার মা কাকলী ধীবর।আরাধ্যার খরচ জোগাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবার কে। ইতিমধ্যেই সোস্যাল মিডিয়া তে বিভিন্ন সংস্থা বা ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করে পোস্ট করেছে আরাধ্যার মা| বর্তমান রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের নেতা মন্ত্রীরা সাহায্যের আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত কোনও অর্থ হাতে এসে পৌঁছায়নি পরিবারের কাছে।
ছোট্ট আরাধ্যা বলে,”আমি দেশের হয়ে বিদেশের মাটিতেও স্বর্ণপদক অর্জন করতে চাই আর দেশের নাম ,পশ্চিমবঙ্গের নাম দুর্গাপুরের নাম উজ্জ্বল করতে চাই । সবার সাহায্য পেলে আমি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগীতা গুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারব।”
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস কিকবক্সিং এসোসিয়েশন এর জেলা কমিটি যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। আরাধ্যা সহ সুরভি মন্ডল, সাহানা খাতুন, উইভী মন্ডল এর মত আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়রা যাতে আগামি দিনে দেশে বিদেশে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগীতা গুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারে তারজন্য স্পনসর এর ব্যবস্থার জন্য উদ্যোগী হয়েছে এসোসিয়েশন। তাদের তরফ থেকে রাজ্য সরকার সহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।