কয়লার লোডিংকে কেন্দ্র করে পান্ডবেশ্বরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভাঙ্গচুর ও আগুন দলীয় কার্যালয়ে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ৪আগস্টঃ
কয়লার ডিওকে কেন্দ্র করে খনি অঞ্চলে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এলো, আর এই গোষ্ঠীদ্বদ্বের জেরে ভাঙ্গচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগ দলীয় কার্যালয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে পান্ডবেশ্বর থানার অন্তর্গত মহাল মোড় এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে খবর, পান্ডবেশ্বর এরিয়ার সাউথ শ্যামলা সাইডিংয়ে ডিওর কয়লা সরবরাহের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল আজ থেকে। সাত সকালে এই সরবরাহকে কেন্দ্র করেই বচসা মারামারির ঘটনা ঘটে যায় এলাকায়, আর এই বচসায় নাম জড়ায় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির অনুগামীদের।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, এদিন কয়লা লোডিংয়ের কাজ শুরু হওয়ার আগে পান্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতির অনুগামী সেখ মুন্না তাঁর অনুগামীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। কয়লা লোডিংয়ের কাজে তাঁর অনুগামীদের নিয়োগ করতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকে সে বলে অভিযোগ। সেই সময় বিধায়কের অনুগামী সেখ মনিরের লোকজন তাদের মারধর করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ, শুধু তাই নয় এও অভিযোগ উঠছে যে তারপর মহাল মোড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় যেখানে সেখ মুন্না ও তাঁর লোকজন বসে সেখানে গিয়ে ভাঙ্গচুর করে আগুন আগয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সেখ মুনির ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
সেখা মুন্না জানান যে “কয়লা লোডিং এর কাজে যাতে দলীয় কর্মীদের নিয়োগ করা হয় সেটা বলতে সাইডিংয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে মুনিরের লোকজন আমাদের মারধর করে পরে দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। তিনি আরো জানান আগে সিপিএম করা পরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুনির এলাকায় কয়লা বালি সহ বিভিন্ন অবৈধ কারবারের সঙ্গে জড়িত। তাঁর এসব কাজের জন্য এলাকায় তৃণমূলের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।”
অন্যদিকে শেখ মুনিরের ঘনিষ্ট মতিউর রহমান বলেন “বৈধ কয়লার ডিওর কাজে মুন্না ও তার লোকজন অন্যায় ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘোরাতে মুন্না নিজেই দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে আমাদের বদনাম করার চেষ্টা করছে।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ।