দুর্গাপুরে ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু মহিলা সহ দুই বৃদ্ধের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৮আগস্টঃ
এতদিন শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের বাসিন্দারা ভীত সন্ত্রস্ত ছিল যে এই শহরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, কিন্তু সেই আতঙ্কের পারদ চড়ল এবার এই শহরে শুরু হল মৃত্যু মিছিল। গত ২৪ ঘন্টায় এই শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তিনজনের। যার মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন মহিলা রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা বেনাচিতির বাসিন্দা ও অপর একজন দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি জোনের মার্কনী এভিন্যুয়ের বাসিন্দা।
প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, বেনাচিতির বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী ওই মহিলা জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এরপর তাঁর লালারস পরীক্ষা করা হলে করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর তাঁকে মলানদিঘির করোনা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
অপরদিকে বেনাচিতির বাসিন্দা বছর একষট্টির এক বৃদ্ধ ও বি জোনের মার্কনী এভিন্যুয়ের বাসিন্দা বছর বাষট্টির অপর এক বৃদ্ধ জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিধাননগরের একটি বেসরকারী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, আজ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই দুই বৃদ্ধের।
প্রসঙ্গতঃ গত ৩১শে জুলাই দুর্গাপুরের প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ফরিদপুরে করোনায় আক্রন্ত হয়ে বছর ছেষট্টির পরেশনাথ দে নামে এক বৃদ্ধের। নিজের বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
রাজ্যে ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমন, আর সেই সংক্রমনের হাত থেকে বাঁচতে সরকার থেকে চলতি মাসে সাত দিন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, আজ তার দ্বিতীয় দিন। কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যেও নিয়ম ভেঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পথে নামতে দেখা যায় দুর্গাপুরের বহু মানুষকে। আজ দ্বিতীয় দিনের এই লকডাউনে দুর্গাপুরে সারাদিনে লকডাউনের নিয় ভাঙ্গার জন্য সাথে মাস্ক না পরার জন্য প্রায় ৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর এই চিত্র দেখে এটা স্পষ্ট যে করোনা নিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে সচেতনতার বেশ অভাব।