দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু, আটক স্বামী সহ তিন বন্ধু
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২২আগস্টঃ
এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এ-জোনের নেতাজি সুভাষ রোড এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম ঝুমকা মজুমদার(৩০)। গৃহবধূর স্বামী সহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। গৃহবধূর বাবার দাবি তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বছর দশেক আগে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বাসিন্দা মনীন্দ্র মিস্ত্রির মেয়ে ঝুমকার সাথে বিয়ে হয় বিশ্বনাথ মজুমদারের। ঝুমকার বাবা অভিযোগ বিয়ের বছর দুয়েক পেরোনোর পর থেকেই ঝুমকার স্বামী মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে মারধর করত। কখনও কখনও তা চরমেও উঠত। বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে বাড়িতেও মদের আসর বসাতো ঝুমকার স্বামী বলে তাঁর বাবার অভিযোগ।
তিনি আরো জানান যে, গতকাল রাতে ঝুমকার সাথে তাঁর স্বামী বিশ্বনাথের চরম অশান্তি হয়। এরপর বিশ্বনাথ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর সে বাড়ি ফিরলে দম্পতির সাত বছরের মেয়ে বাবাকে জানায় যে তার মা টুল আর ওড়না নিয়ে বেরিয়ে গেছে। তা শুনে বিশ্বনাথ স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। মনীন্দ্রবাবু আরো জানান যে, তাঁকে বলা হয়েছে যে বিশ্বনাথ নাকি ঝুমকাকে খুঁজতে খুঁজতে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি গাছে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। এরপর বিশ্বনাথ তাঁর তিনজন বন্ধুকে ডেকে ঝুমকার মৃতদেহ গাছের থেকে নামিয়ে ঘরে নিয়ে আসে। তারপর খবর দেয় পুলিশকে। কিন্তু মনীন্দ্রবাবুর দাবি তাঁর জামাই মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঝুমকার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। সাথে ঝুমকার স্বামী বিশ্বনাথ সহ তাঁর তিন বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।