রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পাচ্ছেন দুর্গাপুরের প্রধান শিক্ষক ডঃ কলিমুল হক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২২আগস্টঃ
পিছিয়ে পড়া স্কুলকে প্রথম সারিতে এনে সেই স্কুলের মানোন্নয়ন করে রাজ্যে চতুর্থ স্কুল হিসেবে সম্মান এনে দেওয়ার জন্য শিক্ষারত্নের পর এ বছর শিক্ষক দিবসে রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পাচ্ছেন দুর্গাপুরের নেপালীপাড়া হিন্দি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ কলিমুল হক।
১৯৯৯ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে খড়গপুরে একটি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন এই সমাজ গরার কারিগর। ২০০৪ সালে ওই স্কুলেই প্রধান শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছিলেন। এরপর ২০১০ সালে দুর্গাপুরে নেপালিপাড়া হিন্দি হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত নেপালিপাড়া এক সময় পিছিয়ে পড়া এলাকা বলে চিহিত ছিল। পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের জন্য ওই স্কুল তৈরি হলেও উন্নয়নের নাম গন্ধও ছিল না ওই স্কুলে। এরপর স্কুলে যোগ দিয়ে অন্যান্য সিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে নিয়ে কাজ শুরু করেন হক সাহেব। সরকারী সাহায্যের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা থেকে আর্থিক সহায়তায় এই স্কুলকে নতুন করে সাজিয়ে তোলেন তিনি। যার ফলস্বরূপ প্রথমে ২০১৬ সালে সেই সময়ের অবিভক্ত বর্ধমান জেলার “শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক” হিসেবে পুরষ্কৃত হন তিনি আর স্কুলটি জেলায় “দ্বিতীয় স্কুল” হিসেবে পুরষ্কৃত হয়। এখান থেকেই শুরু হয় স্কুলের মানোন্নয়নের পথে চলা। ২০১৭ সালে নেপালিপাড়া হিন্দি হাই স্কুল “শিশু মিত্র বিদ্যালয়” পুরষ্কার লাভ করে। ২০১৮ সালে রাজ্যে “চতুর্থ স্কুল” হিসেবে পুরষ্কৃত হয়। এরপর ২০১৯ সালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ডঃ কলিমুল হককে “শিক্ষারত্ন” পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়।
বর্তমানে নেপালিপাড়া হিন্দি হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় তিন হাজার পাঁচশ’ জন। হিন্দি স্কুলগুলির মধ্যে দুর্গাপুরে বর্তমানে এই স্কুলের যথেষ্ট নামডাক রয়েছে। এই স্কুলের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান শিক্ষক হিসেবে ডঃ কলিমুল হক যথেষ্ট উন্নতি ঘটিয়েছেন। বর্তমানে স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষা সহ সমস্ত রকমের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা হচ্ছে পড়ুয়াদের। আর এই কাজের জন্যই সমাজ গড়ার কারিগর ডঃ কলিমুল হক এ বছর রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পাচ্ছেন।