“শিক্ষারত্ন” পুরষ্কার পাচ্ছেন দুর্গাপুরের প্রধান শিক্ষক কাজী নিজামুদ্দিন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৩০আগস্টঃ
দুর্গাপুরের নেপালীপাড়া হিন্দি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ কলিমুল হক এ বছর জাতীয় শিক্ষকের সম্মানে ভূষিত হতে চলেছেন। এই খবর জানার পর করোনা আবহে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের পরিবেশটাই অন্য রকম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এবার সেই পরিবেশে আরো এক মাত্রা যোগ হল যখন জানা গেল এ বছর শিক্ষক দিবসের দিন এই শিল্পাঞ্চলেরই আরো এক প্রধান শিক্ষককে সম্মানিত করা হচ্ছে। বিজড়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী নিজামুদ্দিনকে “শিক্ষারত্ন” পুরষ্কারে সম্মানিত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বিজড়া হাই স্কুলটির মানোন্নয়নের জন্য তাঁকে এই সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে।
১৯৮৮ সালে অন্ডাল ভিলেজ স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাজী নিজামুদ্দিন শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর ২০০২ সালের জুলাই মাসে তিনি বিজরা হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর সেই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ের মানোন্নয়নয়ের কাজ শুরু করেন। স্কুলের সূচনা লগ্ন থেকে ওতপ্রোতভাবে তিনি জড়িয়ে রয়েছেন। বর্তমানে বিজড়া হাই স্কুলে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় আটশ। এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মূলতঃ ধবনী, বিজড়া, মহুয়াবাগান, দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর শোভাপুর, উইলিয়াম ক্যারী এলাকার। সরকারী আর্থিক অনুদানের উপর নির্ভর করেই এই বিদ্যালয়কে সাজিয়ে তুলতে শুরু করেন। বিজরা হাই স্কুলের এই প্রধান শিক্ষক কাজী নিজামুদ্দিনের হাত ধরেই এই স্কুল “নির্মল স্কুল” ও “শিশুমিত্র” পুরষ্কার পেয়েছে। যার ফলস্বরূপ এ বছর রাজ্য সরকার তাঁকে “শিক্ষারত্ন” পুরস্কারে ভূষিত করতে চলেছেন।
সমাজ গড়ার এই কারিগর শুধুই যে শিক্ষকতার মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন তা নয়। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলে কবি, সাহিত্যিক হিসেবেও পরিচিত। সাহিত্য জগতেও তাঁর অবাধ বিচরন। বর্তমানে তিনি কাজী নজরুল ইসলামের উপর গবেষণা করছেন। তাঁর লেখা দুটি বই হল “শাখায় শব্দ পাতায় প্রাণ” ও অপরটি হল “এসো গাছ হই।”