বিশ্বকর্মা পুজো নিয়ে সেইল কর্তৃপক্ষের দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মীরা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৮সেপ্টেম্বরঃ
একই জেলার দুটি শিল্পাঞ্চল আর এই দুই শিল্পাঞ্চলের প্রধান দুটি কারখানা হল ইসকো ইস্পাত কারখানা ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা যা সেইল অর্থাৎ স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার অন্তর্ভুক্ত। এই দুই কারখানা সহ সমগ্র রাজ্যের সমস্ত কারখানার কর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য। এই একটি পুজো যা কারখানার কর্মীদের মধ্যে বাড়তি অক্সিজেন জোগায়। কিন্তু এ বছরটা আর পাঁচটা বছরের নয়। করোনার থাবায় জর্জরিত আপামোর বিশ্ববাসী। এহেন পরিস্থিতিতে সমস্ত আনন্দ অনুষ্ঠান নিয়েই চলছে কি হয় কি হয় অবস্থা। ব্যতিক্রম ছিল না বিশ্বকর্মা পুজোর ক্ষেত্রেও। এই দুই কারখানার কর্মীরাও ভাবছিলেন যে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর খুব ধুমধাম করে না হলেও অন্তত নিজেদের মতো করে পুজো করবেন। সেই মতো কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে এক অদ্ভূত সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল সেইল কর্তৃপক্ষকে। ইসকো ইস্পাত কারখানা ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মীদের হাতে এসে পৌঁছোল দুটি সার্কুলার, যে সার্কুলারের বিষয়বস্তু একই হলেও নির্দেশনামা পৃথক আর তা হল ইসকোর কর্মীদের শর্তসাপেক্ষে বিশ্বকর্মা পুজোর অনুমতি দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফে কিন্তু বিপরীত সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মীদের ক্ষেত্রে আর তা হল এই কারখানার কর্মীদের পুজো করতে সাফ বারন করে দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মীদের অভিযোগ, করোনাকে কারন দেখিয়ে সেইল কর্তৃপক্ষ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় বিশ্বকর্মা পুজোর ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে ইসকো ইস্পাত কারখানার ক্ষেত্রে কেন তাহলে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে? করোনার আক্রমন কি তাহলে শুধু দুর্গাপুর শহরে আছে, বার্ণপুরে নেই? ইসকো ইস্পাত কারখানার কর্মীদের যদি শর্তসাপেক্ষে বিশ্বকর্মা পুজোর অনুমতি দেওয়া যেতে পারে তাহলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মীদের ক্ষেত্রে বাধা কোথায় ছিল? শুধু তাই নয় ইসকো ইস্পাত কারখানা ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) একই ব্যাক্তি হওয়া সত্বেও কি করে দুটি কারখানার পুজোর ক্ষেত্রে দুরকম সিদ্ধান্ত হল?
স্বভাবতই সেইল কর্তৃপক্ষের এহেন দ্বিচারিতায় হতবাক সাথে ক্ষুব্ধও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মীরা।