স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার লক্ষীপুজো হবে খাঁন্দরা সিনহা বাড়ির
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ২৯অক্টোবরঃ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন হবে খান্দার সিনহা বাড়ির। প্রতিমা দর্শন করতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে কিছু নিয়ম বিধি। সেই বিধি যারা মানবে প্রতিমা দর্শন এর অনুমতি পাবে শুধুমাত্র তারাই, এমনটাই জানা যাচ্ছে সিনহা বাড়ির পরিবার সূত্রে ।
১৭১ আগে শুরু হয় সিনহা বাড়ির লক্ষ্মীপুজো। পুজোর আয়োজন হয় পরিবারের নিজস্ব লক্ষ্মী মন্দিরে। পূজার সূচনা করেন পরিবারের আদি পুরুষ সুধাকৃষ্ণ সিনহা। তিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। পরিবার সূত্রে জানা যায় সিনহা পরিবারের আদি বাড়ি ছিল মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকায়। সেখান থেকে তারা অন্ডালের খাঁন্দরা গ্রামে আসেন। সেই সময় গ্রামে একাধিক বাড়িতে দুর্গা পুজোর আয়োজন হলেও লক্ষ্মী পূজার খুব একটা চল ছিল না। সেই কারণেই সুধাকৃষ্ণবাবু পারিবারিক লক্ষ্মী পূজার সূচনা করেন বলে যানা যায়।
এবার পুজো হবে করোনা আবহে। তাই সিনহা বাড়ি পূজোর আয়োজনে এবার থাকছে বাড়তি সর্তকতা। পরিবারের সদস্য অনুপ কুমার সিনহা জানান পুজোর দুই দিন দর্শনার্থীদের প্রতিমা দর্শন করতে হবে মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে। ভিতরে শুধুমাত্র প্রবেশের অনুমতি থাকবে পুরোহিত ও পরিবারের দু এক জনের। পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য একসাথে পাঁচজন মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে। দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, কেউ মাস্ক পড়ে না এলে তাদের মাস্ক দেওয়া হবে। এছাড়া হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য মন্দিরের প্রবেশ দ্বারে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা থাকবে স্যানিটাইজার। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় গোটা মন্দির চত্বর জীবাণুমুক্ত করার জন্য স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হবে। ভিড় ও জমায়েত এড়াতে বিসর্জনে এবার শোভাযাত্রা হবে না বলে জানান তিনি। আগে পুজো উপলক্ষে চারদিন সাংস্কৃতিক ও বিচিত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো। একসাথে রান্না করে পরিবারের সদস্যদের খাওয়া-দাওয়ার চল ছিল। সেই সাথে আমন্ত্রণ করা হতো পরিবারের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদেরও। করোনার কারণে এবার সে সব বাতিল করা হয়েছে বলে জানান অনুপ বাবু।