ঘরে ফিরতে না পারা ১৯ জন ঝাড়খন্ডী শ্রমিকদের দুর্গাপুরে রাখতে আপত্তি স্থানীয়দের, জেরবার পুলিশ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১এপ্রিলঃ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন সাধারন মানুষ সকলের স্বার্থে নিজেদের ঘরবন্দী করে নিয়েছে সেওকমই বহু মানুষ রয়েছেন যারা নিজের রাজ্য, নিজের পরিবার পরিজনদের ছেড়ে অন্যত্র পেটের তাগিদে কাজ করতে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়েছেন। ফিরতে পারছেন না নিজেদের ঘরে, নিজেদের পরিবারের কাছে। কিন্তু তারপরেও শুধু পরিবারের টানে অনেক ঝুঁকি নিয়ে বহু মানুষ ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরকমই ১৯ জন ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা যারা বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় একটি বেসরকারী কারখানায় কাজ করেন, তাঁরা লকডাউনের জেরে আটকে পড়েন কর্মস্থলে। কিন্তু শুধু পরিবারের টানে আজ বুধবার ঝাড়খন্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু পশ্চিমবংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। এরপর তাদের একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের লাউদোহায়। সেখানে একটি স্কুলে তাদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। আপত্তির জেরে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাঁঝরায়। সেখানে একটি বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম স্কুলে নিয়ে তোলা হয়। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারাও ওই ১৯ জন শ্রমিকের থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন। এরপর ফরিদপুর(লাউদোহা) থানার পুলিশ তাদের নিয়ে এসে দুর্গাপুরে থাকার বন্দোবস্ত করে।