স্ত্রীর উপর অত্যাচার করেন বাবা মা, প্রতিবাদে আত্মঘাতী দুর্গাপুরের অভিমানী যুবক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২০নভেম্বরঃ
নিজের উপর সাথে স্ত্রীর উপর বাবা মায়ের মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন বছর চৌত্রিশের এক যুবক। ঘটনাটি জানাজানি হতে প্রতিবেশীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মৃত ওই যুবকের বাড়ির সামনে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি জোনের ৯/১ এডিসন রোডে যাদব ও মায়া দাসের সাথে থাকতেন তাঁর ছেলে সৌভিক দাস। সৌভিকের পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও দুই বছর পাঁচেকের যমজ দুই মেয়ে। মাস তিনেক আগে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে ঠিকা কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেন সৌভিক। এরই মধ্যে গত পরশু অর্থাৎ বুধবার রাতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে নেন। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুদিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় সৌভিকের। সৌভকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সৌভিকের বাড়ির সামনে একত্রিত হন প্রতিবেশীরা। তাদের অভিযোগ, সৌভিকের বাবা মা সৌভিক ও তাঁর স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাতেন। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই এই পথ বেছে নেন সৌভিক। প্রতিবেশীরা সৌভিকের স্ত্রী ও তাদের দুই সন্তানের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।
এদিকে বিষয়টি জানার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। উত্তেজিত প্রতিবেশীদের হাত থেকে সৌভিকের বাবা মাকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে গেলে বাধা দেন তাঁরা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন যতক্ষন না সৌভিকের স্ত্রী ন্যায্য বিচার পাচ্ছে ততক্ষন তাঁরা এই প্রতিবাদ চালিয়েই যাবেন। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সৌভিকের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অপরদিকে নিজেদের উপর প্রতিবেশীদের লাগানো অভিযোগ অস্বীকার করেন সৌভিকের বাবা যাদব দাস ও মায়া দাস। তাঁরা বলেন ছেলে নেস করত আর তাঁর থেকেই পরশু রাতে আচমকা নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
পুলিশ ঘটনার সত্য উদ্ঘাটন করতে তদন্ত শুরু করেছে।