লাউদোহায় আদিবাসীদের সমস্যার কথা শুনলেন জেলাশাসক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(লাউদোহা), ২১নভেম্বরঃ
কেমন আছে আদিবাসী বাসিন্দারা, তাদের সুবিধা-অসুবিধা অভাব-অভিযোগ জানতে মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের ইছাপুর পঞ্চায়েতের বাঁশগড়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় আসেন জেলাশাসক পূর্নেন্দু মাজি, সাথে ছিলেন ওই ব্লকের স্থানীয় বিডিও, বিএলআরও, জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে প্রতিপক্ষ বিজেপি। মানুষের অভাব অভিযোগ তুলে শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই সুর চড়াচ্ছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে সরকারের প্রকল্প গুলি তৃণমূল স্তরের মানুষজনের কাছে পৌঁছেছে কিনা তা দেখার জন্য সরকারি আধিকারিকদের এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে দেখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সেই নির্দেশে মঙ্গলবার লাউদোহা ব্লকের ইছাপুর পঞ্চায়েতের বাঁশগড়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় আসেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। তার সাথে ছিলেন স্থানীয় বিডিও দেবজিৎ দত্ত, ব্লক ভূমি আধিকারিক, জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায় সহ অন্যরা। বাঁশগড়া গ্রামের আদিবাসী প্রায় ২০০ টি আদিবাসী পরিবার রয়েছে। রাজ্য সরকারের যে সকল পরিষেবা ও প্রকল্প রয়েছে সেগুলি তারা পান কিনা জেলাশাসক তাদের কাছে জানতে চান। এলাকার উন্নয়নে আর কি কি করা দরকার সেই বিষয়েও আদিবাসীদের সাথে মত বিনিময় করেন জেলাশাসক। সরকারি আধিকারিকদের কাছে পেয়ে তাদের সামনে নিজেদের অসুবিধার কথা গুলো তুলে ধরেন আদিবাসী পুরুষ-মহিলারা। তারা বলেন এখনো অনেকের তপসিলি জাতি উপজাতির শংসাপত্র হয়নি। কেউ কেউ দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও এখনো পাইনি জমির পাট্টা। স্থানীয় বিডিও দেবজিত দত্ত এ প্রসঙ্গে বলেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় একটি সরকারী পরিষেবা ক্যাম্প করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই ক্যাম্পে তৎকালীন এসসি, এসটি সার্টিফিকেট ছাড়াও আধার কার্ড এবং রেশন কার্ড কবে দেওয়া হবে। আদিবাসী পরিবারগুলিকে জমির পাট্টা কিভাবে দেওয়া যায় সেই বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।