কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে দুর্গাপুর ছুঁয়ে দিল্লির পথে পায়ে হেঁটে বাংলার অভিনেতা জয়রাজ ভট্টাচার্য্য
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৩০ডিসেম্বরঃ
একজন অভিনেতা মঞ্চে কিংবা রূপোলী পর্দায় অভিনয় করেন অনেক কঠোর বাস্তবের অন্যায় অবিচারের কাহিনী নিয়ে, কিন্তু সেই সমস্ত কাহিনীকে যখন বাস্তবের মাটিতে পা রাখতে দেখেন তখন সেই অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের মধ্যে অনেকেই সেই বাস্তবের রূঢ়তা মেনে নিতে পারেন না। প্রতিবাদ জানান তাঁরা। এরকমই একজন মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা জয়রাজ ভট্টাচার্য্য। দিল্লীতে কৃষক আন্দোলন আজ যে জায়গায় পৌঁছেছে সেই অবস্থায় তাদের সেই লড়াইয়ে সামিল হয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ অনুভব করেন জয়রাজ আর সেই তাগিদ থেকে পায়ে হেঁটে দিল্লী পাড়ি দিয়েছেন তিনি। সফর সঙ্গী আরো তিনজন। তাঁরা হলেন অনিয়ান রায়, পিয়ালি চ্যাটার্জী ও সৌম্যরঞ্জন মুখার্জী।
সোমবার(২৮ ডিসেম্বর) অনিয়ান, পিয়ালি ও সৌমরঞ্জনকে সাথে নিয়ে হাওড়ার শিবপুর থেকে রওনা দেন জয়রাজ। ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে প্রচারের স্বার্থে অধিকাংশ জনপদ হেঁটেই তাঁরা পার করছেন। গতকাল রাতে এসে পৌঁছোন দুর্গাপুরে। রাত্রিবাসের পর আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ সিটিসেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহের সামনে থেকে ফের তাঁর যাত্রা শুরু করেন জয়রাজ।
জয়রাজ বলেন, কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী নয়া বিল প্রত্যাহারে দাবি জানিয়ে দিল্লীর পথে যে লাখ লাখ কৃষক একত্রিত হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁরা এই বার্তাই দিতে চান যে বাংলার মানুষও তাদের এই আন্দোলনে পাশে আছে। তিনি আরো জানান সব ঠিক মতো চললে দীর্ঘ ১৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জানুয়ারীর ৫ তারিখে দিল্লী সীমান্তে পৌঁছোবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গতঃ জয়রাজ ভট্টাচার্য একাধারে নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক। তাঁর পরিচালনায় বেশ কয়েকটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “একটি উত্তর আধুনিক সামাজিক পালা”, “ মিত্রকে নিয়ে কি করিতে হইবে”, “তিতুমীর”। এছাড়াও রূপোলী পর্দায় তাঁর পরিচালিত ছনি হল ঘ্যা চাং ফুঁ।
তাঁর অভিনীত কয়েকটি নাটক ও সিনেমা হল মারীচ সংবাদ, হারানের নাতজামাই, গন্তব্য, তিস্তা পারের বৃত্তান্ত্য সহ আরো বেশ কিছু।