দুর্গাপুরে বিজেপির ‘চূড়ান্ত ফ্লপ’ যোগদান মেলায় শুভেন্দুর বাম কংগ্রেসের কাছে ভোট ভিক্ষে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১২জানুয়ারীঃ
কর্মসূচীর নাম রাখা হয়েছে “যোগদান মেলা”। বিজেপির এই কর্মসূচী যেমন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে করতে দেখা যাচ্ছে তেমনই দুর্গাপুরেও এই যোগদান মেলার উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির কার্যকর্তাদের। উদ্দেশ্য আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে যতটা নিজেদের দল ভারী করে নেওয়া যায়। বাম, কংগ্রেস থেকে তো আছেই মূল লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ছোট থেকে ছোট, বড় থেকে বড় নেতা কর্মীদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো। সেই মতো আজ ছিল এই যোগদান মেলার দ্বিতীয় দফা, আর এই দ্বিতীয় দফাতেই যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়তে দেখা গেল যোগদান মেলার কর্মসূচীকে তাতে শিল্পাঞ্চলের বিজেপির নেতারা বেশ অনেকটাই ব্যাকফুটে গেলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। গত যোগদান মেলায় তবু বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে জেলা সভাপতি লক্ষ্মন ঘোড়ুইয়ের হাত ধরে দু একজন কয়লা মাফিয়াকে দলে যোগ দিতে দেখা গেছিল। কিন্তু এবারে বাড়তি অক্সিজেন পেতে নব্য বিজেপি নেতা তথা তৃণমূলের দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে আসার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল পদ্মফুল শিবিরের তরফে সেই পরিকল্পনায় বাড়তি অক্সিজেন তো দূর যেন বেশ কিছুটা কার্বন ডাই অক্সাইড যেন যোগ হল। চূড়ান্ত ফ্লপ এই যোগদান মেলায় সেভাবে কোন তৃণমূল নেতা কর্মীকে যোগ দিতে দেখাই গেল না। অথচ শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ক্যারিশমাকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির শিল্পাঞ্চল নেতৃত্ব মানসিকভাবে এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁরা দুর্গাপুর থেকে শুরু করে আসানসোলের বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন সভায় সদর্পে ঘোষণা করছিলেম যে এই অঞ্চলের হেভিওয়েট অনেক তৃণমূল নেতারা তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য। আর তাতেই ভর করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা নাকি এই জেলায় ৯-০ করে দেবেন, কিন্তু তিনজন সাংসদ, একজন মন্ত্রীর উপস্থিতিও যোগদান মেলায় যোগদানের আলোই জ্বালতে পারলেন না। মেদিনীপুরে শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের সাথে সাথে তাঁর হাত ধরে আরো অনেক তৃণমূল সাংসদ বিধায়ক কিংবা নেতা কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানে বিজেপি যেভাবে আশায় বুক বেঁধেছিল সেই আশায় ভরসা করে দুর্গাপুরেও সেই চিত্র আঁকতে চেয়েছিলেন বিজেপির শিল্পাঞ্চল নেতৃত্ব। কিন্তু বিজেপির দাবি অনুযায়ী দুর্গাপুরে তৃণমূল বা বাম কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাদের তো কাউকেই বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা তো গেলই না বরং নেতৃত্বকে হতাশ করে দেখা গেল উল্টে হেভিওয়েট শুভেন্দুবাবু যে বাম কংগ্রেসের কাছে ভোট ভিক্ষে করে বসলেন। ফলে চূড়ান্ত ফ্লপ এই যোগদান মেলার প্রভাব আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাই এখন দেখার।