‘কয়লা চোর বিধায়ক মানছি না” লেখা পোস্টারকে ঘিরে উত্তেজনা পান্ডবেশ্বরে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ৩ফেব্রুয়ারীঃ
এলাকায় পড়লো তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার। বুধবার সকালে পোস্টার কান্ডটি প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়াছে চাঞ্চল্য।
ঘটনা সুত্রে জানা গিয়েছে এদিন সকালে পাণ্ডবেশ্বর রেলওয়ে স্টেশন চত্বর ও বাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি পোস্টার নজরে আসে স্থানীয়দের। পোস্টার গুলিতে লেখা ছিল ”কয়লা চোর বিধায়ক মানছি না মানবো না”, ”কয়লা চোর বিধায়ক আর না”। আর সেই পোস্টারের নিচে লেখা রয়েছে পাণ্ডবেশ্বর নাগরিকবৃন্দ। পোস্টার গুলি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি সেগুলি খুলে ফেলা হয় দেওয়াল থেকে। পোস্টারের নিচে লেখা ”পাণ্ডবেশ্বর নাগরিকবৃন্দ”- এই নাগরিকবৃন্দ কে বা কারা সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতুহল। বিরোধীদের মতে এটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফল। এলাকায় বিধায়ক ও দলের ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব কারো অজানা নয়। সাম্প্রতিককালের সেই দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। কিছুদিন আগেই বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে উন্নয়ন না করতে দেওয়া নিয়ে মুখ খোলেন। তারপর নিজেই দলের জেলা সভাপতি পদ ও আসানসোল পুরসভার কার্যকরী মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন। পরে অবশ্য দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিটে গেছে বলে দাবি করেন জিতেন্দ্রর বাবু। কিন্তু জিতেন্দ্রর বাবুর এই দলবিরোধী আচরণে পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় তার বিরুদ্ধে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। বিধায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এমনকি তার কুশপুত্তলিকাও দাহ করে দলীয় কর্মী সমর্থকরা। সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। আগামী ৭ ফফেব্রুয়ারী এলাকায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির নেতৃত্বে বিশাল মহামিছিল কর্মসূচি রয়েছে। তার আগে এই পোস্টার কাণ্ডে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে দল। তবে দলের ব্লক সভাপতির নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এই বিষয়ে জানান এটি স্বার্থন্বেষী মানুষের কাজ। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই কেউ বা কারা এই পোস্টারটি লাগিয়েছে। কারা এই কাজে জড়িত তা জানার জন্য প্রশাসনিক তদন্তের পাশাপাশি দলীয় স্তরেও তদন্ত করা হবে বলে জানান নরেন্দ্রনাথ বাবু। অন্যদিকে পোস্টার কান্ড নিয়ে বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারী কোনো প্রতিক্রিয়া মিলেনি।