উখরায় ২৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে পুজারী মাঠ ঘেরার কাজ শুরু হল
পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ১৩ফেব্রুয়ারীঃ
শুরু হলো উখড়া আমলৌকা যাওয়ার রাস্তায় পূজারী মাঠটি সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ। শনিবার কাজের সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীতা ঘোষ ,উপপ্রধান রাজু মুখোপাধ্যায় সহ অন্যরা।
প্রসঙ্গতঃ বাইশটি সংসদ নিয়ে উখড়া গ্রাম পঞ্চায়ে। জনসংখ্যা প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি। এলাকায় রয়েছে একটি মাধ্যমিক ও দুটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল। প্রাইমারি স্কুলের সংখ্যা ৫ টি। অথচ এলাকায় খেলার মাঠ একটি। উখড়া-বাঁকোলা রোডের পাশে উখরা কে বি ইনস্টিটিউশনের এই মাঠ-টি এলাকায় খেলাধুলার একমাত্র ভরসা। প্রতি বছর আগস্ট মাসে এই মাঠে বসে ঝুলন মেলা, দুর্গাপুজোর পর স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে মাঠে আয়োজিত হয় ফুটবল প্রতিযোগিতা। ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাসে গেমস অ্যান্ড কালচার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বসে নকআউট ক্রিকেট প্রতিযোগীতা। খুদেদের নিয়ে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও চলে এই মাঠে। স্বভাবতই মাঠ নিয়ে প্রায় সমস্যায় পড়তে হয় আয়োজক ও খেলোয়াড়দের।
উখরা স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে আহমেদ হোসেন জানান ঝুলন মেলার কিছুদিন পরেই আমরা ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। মেলা বসার কারণে খানাখন্দ হয় মাঠে। ভালো প্রতিযোগিতার জন্য ভালো মাঠের প্রয়োজন। তাই মাঠ খেলার উপযুক্ত করার জন্য সময় ও অর্থ খরচ হয় বেশি। মেলাটি অন্য জায়গায় বসালে এই সমস্যা হয় না।
উখড়া গেমস অ্যান্ড কালচার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মাখন মুখোপাধ্যায়ও একই অভিযোগ করেন। বলেন মাঠ সংস্কারের জন্য প্রতিযোগিতার মোট বাজেটের একটা বড় অংশ খরচ করতে হয়। সেই কারণে উখরায় বিকল্প মাঠের চাহিদা রয়েছে। পূজারী মাঠটিকে বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে অনেক দিন ধরে। এই মাঠে প্রায়শই ফুটবল ও ক্রিকেটের ছোট প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। সম্প্রতি এখানে মহিলাদের ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবিরও চালু হয়েছে। তবে মাঠটির উন্নতির জন্য সীমানা প্রাচীর ও ঘাসের প্রয়োজন রয়েছে বলে মত খেলোয়াড় ও ক্রীড়াপ্রেমীদের। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান রিতা ঘোষ, রাজু মুখোপাধ্যায় জানান মাঠটির চারপাশে সীমানাপ্রাচীরের জন্য জেলা পরিষদের আবেদন করা হয়েছিল। ”পাড়ায় সমাধান”- প্রকল্পে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সীমানা প্রাচীরের জন্য ২৩,১২,৬৯৩ টাকা অনুমোদন পাওয়া গেছে। সীমানা প্রাচীরের কাজ শেষ হলে মাঠটির উন্নতির জন্য আরও বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান রিতা দেবী।