সম্পদ বিক্রির ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, জানেন না দলেরই সাধারন সম্পাদক, দুর্গাপুরে তর্কে জড়ালেন সাংবাদিকদের সাথে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৫ফেব্রুয়ারীঃ
সামনেই এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মন পেতে মরিয়া শাসক বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। তাই নিজেদের ভোট ব্যাংক ভরাতে শাসকদল নিজেদের কর্মকান্ডের খতিয়ান তুলে ধরছে রাজ্যবাসীর কাছে। অপরদিকে একই উদ্দ্যেশ্যে বিরোধীরা কখনও ছিদ্রান্বেষীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে আবার কখনও প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। আর এই নির্বাচনী প্রচারের জন্য শুধু মাত্র বঙ্গ বিজেপির উপর ভরসা না করে ভিন রাজ্যের বা কেন্দ্রীয় স্তরের নেতৃত্বকে এই রাজ্যে আনাগোনা করতে দেখা যাচ্ছে। এরকমই এক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার শহর দুর্গাপুরে ঘুরে গেলেন। দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে করলেন একটি সাংবাদিক বৈঠকও। এদিনের বৈঠকের মূল বক্তা ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক অরুন সিং। কিন্তু এই বৈঠক শুরু হতেই দেখা গেল বেশ কিছু বিভ্রাট। এই প্রেক্ষাগৃহের মূল মঞ্চে পযে ব্যানার টাঙ্গানো হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির নামে সেখানে ভারতীয় শব্দটি বানান ভুল লেখা ছিল যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ছিল। তবে এখানেই শেষ নয়। এরপর শুরু হয় বিজেপির সাধারন সম্পাদকের সাথে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তর পর্ব। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন শিল্প নিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন অরুণ সিং সহ রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। অরুন সিং যখন বলেন বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে বঙ্গে নতুন কোনো শিল্প তো হয়ইনি, উপরন্তু অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গ ধরে অরুন সিংকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার কেন দুর্গাপুরে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বেসরকারীকরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন এরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় যে, গতকালই প্রধানমন্ত্রী ১০০টি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বেসরকারীকরনের কথা ঘোষণা করেছেন যার মধ্যে দুর্গাপুরের মিশ্র ইস্পাত কারখানা রয়েছে। পরে অবশ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক নিজের ভুল বুঝতে পেরে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
প্রসঙ্গতঃ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন, মোট ১০০টি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার বেসরকারীকরন ও তাদের অব্যবহৃত সম্পত্তি বেচে প্রায় ২কোটি ৫০ লক্ষ কোটি টাকা রাজকোষে ভরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয় রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বিক্রির প্রসঙ্গে সাফ জানিয়ে দেন তিনি যে, ব্যবসা করা সরকারের কাজ নয়।