জিতেন্দ্র তিওয়ারী বিজেপিতে যোগ দিতেই বিধায়কের দপ্তরের দখল নিলো তৃণমূল, ধোয়া হল গঙ্গাজলে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ২মার্চঃ
তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতেই পাণ্ডবেশ্বরের হরিপুরে বিধায়কের কার্যালয়ের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলের ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী নেতৃত্বে এলাকায় বের হয় মিছিল। মিছিল করে বিধায়কের কার্যালয় দখল নেয় তৃণমূল। অফিসের এমএল-এর সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলা হয়। দরজা থেকে বিধায়কের নামাঙ্কিত প্লেট ভেঙ্গে ফেলা হয়।
ব্লক সয়াপই নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, প্রতারক মানুষের তৃণমূলেতে কোন জায়গা নেই। কয়লা, লোহা এবং বালি চোরের জন্য তৃণমূলে কোন জায়গা নেই। নরেন বাবু বলেন পাপ বিদায় হয়েছে ,এতে দলের মঙ্গল হল। আজ, তৃণমূলের সকল কর্মীরা খুশি।
তৃণমূলের জেলা কো-এডিনেটর হরেরাম সিং বলেন,আমরা জানতাম জিতেন্দ্র তিওয়ারি পিছন থেকে একদিন দলে আঘাত করবে, আজ সেটা প্রমান হল। হারেরাম সিং বলেন দলে একটা বেইমান ছিল সে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে দল আরো শক্তিশালী হবে।
ব্লক সভাপতি জানান যে জিতেন্দ্র তিওয়ারি রূপী পাপ এতদিন তৃণমূলে ছিল, সে আজ বিদায় নিয়েছে। তাই সেই অফিসে পাপের ছোঁয়া যাতে না থাকে সেজন্য গোবর জল ও গঙ্গা জল দিয়ে সমস্ত অফিস ধোয়া হয়।
অন্যদিকে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের ব্লক সভাপতি একসময় জিতেন্দ্র তিওয়ারীর কাছের লোক বলে পরিচিত সুজিত মুখোপাধ্যায় তিনিও বলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি দলের সাথে বেইমানি করেছেন। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদর্শে চলেন তাই যেই পান্ডবেশ্বর বিধান সভার প্রার্থী হবেন তারা তাকেই সমর্থন করবেন এবং বিপুল ভোটে জয়ী করবেন। অন্যদিকে লাউদোহা পুরাতন তৃণমূল কর্মী মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন বিধায়ক হওয়ার পর এলাকায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মদত দিতেন। কয়লা চোর, লোহা চোর, বালি মাফিয়াদের দলে এনে তিনি পুরনো কর্মীদের কোণঠাসা করেছিলেন। স্বভাবতই তিনি দল ছাড়াই দলের পুরোনো কর্মী খুশি।