বড় চ্যালেঞ্জের মুখে রানীগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী তাপস বন্দোপাধ্যায়
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(আসানসোল) ৬মার্চঃ
শুক্রবার আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নাম প্রকাশের পর দেখা গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলার নয়টি কেন্দ্রে সেভাবে নামের রদবদল হয়নি। ব্যাতিক্রম শুধু আসানসোল দক্ষিণের গতবার প্রার্থী তথা বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়ের জায়গায় এবার দাঁড়াচ্ছেন তারকা সায়নী ঘোষ। তাপস বন্দোপাধ্যাকে বরং এবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে বামেদের চিরকালের শক্ত ঘাঁটি রানীগঞ্জে। ওই কেন্দ্রে বরাবরই বামেরা নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেব কেবলমাত্র ২০১১ সাল বাদে। ২০১১ সালে পরিবর্তনের সময় বামপ্রার্থীকে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তৃণমূলের সোহরাব আলি । কিন্তু ২০১৬ সালে সোহরাব আলির বিবি নার্গিস বানু বামপ্রার্থীর কাছে হেরে যান । বর্তমানে রানিগঞ্জে বাম বিধায়ক রয়েছেন রুনু দত্ত। এহেন বামদুর্গে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশ বড়সড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।
“স্বচ্ছ ভাবমূর্তির” তাপস বন্দোপাধ্যায় এক সময় আসানসোলের মেয়র ছিলেন, তিনি বর্তমানে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের(এডিডিএ) চেয়ারম্যানও। আজ পর্যন্ত্য তাঁর সম্বন্ধে কোনো দুর্নীতির কথা তাঁর চরম শত্রুতেও বলতে পারবে না। এহেন “নিষ্কলঙ্ক” তাপস বন্দোপাধ্যায়ের কাছে লড়াইটা যে খুব সহজ হবে না সেটা মনে করছেন অনেকেই।
তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের কেন্দ্র আসানসোল দক্ষিণে দাঁড় না করিয়ে রানীগঞ্জে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্তের পেছনে দুটি কারন থাকতে পারে। প্রথমতঃ দলের সুপ্রিমো তাপস বন্দোপাধ্যায়ের এই স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে হাতিয়ার করে রানীগঞ্জ কেন্দ্রটির পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন, আর দ্বিতীয় কারন হতে পারে যে, গত লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিনে তৃণমূল প্রচুর ভোটে হেরেছিল। সেই কারনে তাপস বন্দোপধ্যায়কে সেখান থেকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় জনপ্রিয় তারকা মুখ সায়নী ঘোষকে দাঁড় করিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে তাপস বন্দোপধ্যায় বলেন, “আমাদের দলনেত্রী যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা দলের ভালোর জন্যই নিয়েছেন, আর আমি তা মেনেও নিয়েছি। আমি অনেক মানুষের থেকে শুভেচ্ছা পাচ্ছি। জেতার ব্যাপারে আমি একশ শতাংশই আশাবাদী।”