চিকিৎসার পর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে ‘অস্বীকার’ দুর্গাপুরের বেসরকারী হাসপাতালের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৬মার্চঃ
চিকিৎসার পর অস্থায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা দিতে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বেসরকারী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যদিও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয় হাসপাতালের তরফে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের বাসিন্দা গৌতম দাস হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরের ওই হাসপাতালে ভর্তি হন চলতি মাসের তিন তারিখে। গৌতমবাবুর সাথে তাঁর বৃদ্ধা মা অশ্রুকনা দাস ও বোন দেবী দাসও এসেছেন। গৌতমবাবুর বোন জানান তাঁর দাদাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাঁরা তাদের অস্থায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়েই ভর্তি করেছিলেন। এরপর গৌতমবাবুর চিকিৎসা শুরু করা হয় হাসপাতালের তরফে। দেবী দাসের অভিযোগ হাসপাতালের তরফে হঠাৎই শুক্রবার অর্থাৎ গতকাল জানানো হয় তাদের ওই অস্থায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি অচল আর ওই কার্ডের কোনো সুবিধা হাসপাতালের তরফে তাদের দেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে গৌতমবাবুর চিকিৎসা বাবদ এই ক’দিনে বিল হয়েছে প্রায় চার লক্ষ টাকা। আর এই বিল না মেটানো পর্যন্ত্য রোগীকে ছাড়াও হবে না বলে হাসপাতাল থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ গৌতমবাবুর মায়ের। ফলে বাড়ি থেকে এতটা দূরে চিকিৎসা করাতে এসে কার্যত দিশেহারা অবস্থা দাস পরিবারের।
এদিকে হাসপাতালের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল সুপার ডঃ পার্থ পাল বলেন এই অভিযোগ সম্পুর্ন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারনে কার্ডটিতে সমস্যা হচ্ছে ,আইটি বিভাগ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে এই মুহুর্তে ১৫৮ জন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় ভর্তি আছেন।