স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কথা জেনে যাওয়ায় অপর স্ত্রীকে খুনে চেষ্টা? দুর্গাপুরের জঙ্গল থেকে উদ্ধার
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১০মার্চঃ
স্বামীর আরো এক স্ত্রী রয়েছে আর এই বিষয়টি জেনে যাওয়ায় দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে পথের থেকে সরাতে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী সাবিনা বিবি ওরফে অঞ্জনা হাজরাকে দুর্গাপুরের এনআইটির জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অঞ্জনা হাজরার সাথে সাত বছর আগে প্রেমঘটিত বিয়ে হয় দুর্গাপুরের রানীগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ সমীরের। ওই দম্পতির একটি তিন বছরের পুত্রসন্তানও রয়েছে। অঞ্জনাদেবী জানান তাঁর স্বামী মহঃ সমীর কৃষ্ণনগরে কাজে যেতেন, সেই সুত্রে তাঁর সাথে পরিচয় আর পরিচয় থেকে প্রেম আর প্রেমের পরে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর ওই দম্পতি প্রথমে কৃষ্ণনগরেই থাকতেন। এরপর মাস তিনেক আগে অঞ্জনাদেবী ও ছেলেকে রানীগঞ্জে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান মহঃ সমীর। একদিন অঞ্জনাদেবীর স্বামীর মোবাইলে একটি ফোন আসে যিনি নিজেকে মহঃ সমীরের স্ত্রী বলে পরিচয় দেন। বিষয়টি নিয়ে অঞ্জনাদেবী তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে তাঁর স্বামী কোনো সদুত্তর না দিলেও পরে অঞ্জনাদেবী জানতে পারেন ওই মহিলা মহঃ সমীরের প্রথমপক্ষের স্ত্রী। এরপর বুধবার অঞ্জনাদেবীর স্বামী তাঁকে কৃষ্ণনগরে বাবার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে দুর্গাপুরের এনআইটির জঙ্গল নিয়ে গিয়ে অঞ্জনাদেবীর গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। অঞ্জনাদেবীর অনুমান তিনি তাঁর স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী রয়েছে বিষয়টি জেনে যাওয়ায় তাঁকে পথের থেকে সরাতেই খুনের চেষ্টা করেছিল মহঃ সমীর।
এদিকে ওই জঙ্গলে প্রাতঃকৃত্য করতে আসা স্থানীয় এক ব্যাক্তির নজরে আসে যে এক মহিলার গলা দিয়ে রক্তক্ষরন হচ্ছে আর একজন পুরুষ সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এরপর ওই ব্যাক্তি পুলিশকে খবর দিলে দুর্গাপুর থানার পুলিশ এসে অঞ্জনাদেবীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সাথে অঞ্জনাদেবীর থেকে পুরো বিষয়টি শুনে রানীগঞ্জ থানার সাথে যোগাযোগ করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।