সাত সকালে পানাগড় ঢাকল সাদা চাদরে, কুয়াশায় না ‘ধোঁয়াশায়’?
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২এপ্রিলঃ
চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লো পানাগড় এর বিস্তৃন এলাকা। কাঁকসা, পানাগড় সব জায়গাতেই সকাল থেকেই কুয়াশার দাপট। পানাগড় বাজার, বাইপাস, দু নম্বর জাতীয় সড়ক, রেল লাইন সব জায়গা কুয়াশায় মোড়া থাকে সকাল থেকে। দৃশ্যমান্যতা কম থাকায় যানবাহন চলাচলে যেমন প্রভাব পড়েছে , তেমনই প্রভাব পড়েছে জনজীবনেও। পানাগড় স্টেশনে আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলছে বেশ কিছুটা দেরিতে। জাতীয় সড়ক বা অন্যান্য্য রাস্তায় যে সব যানবাহন চলাচল করছে তার গতি অত্যন্ত কম, আলো জ্বালিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সমস্ত যানবাহনকে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একেই চৈত্র মাস তার উপর গরমও পড়েছে বেশ। অথচ এই সময় কুয়াশা? বিষয়টি কুয়াশা না বলে ধোঁয়াশা বলা ভাল। কারন পানাগড় শিল্পতালুক থেকে শুরু করে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বহু বেসরকারী কলকারখানা রয়েছে যারা দূষণ নিয়ন্ত্রণের সরকারী নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করে চলেছে। যদিও আইন বাঁচানোর জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণের কিছু ব্যবস্থা তাঁরা করে রেখেছেন যা বছরের বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থাকে। নাভিশ্বাস ওঠে কারখানার আশেপাশের বাসিব্দাদের। দূষণের জেরে প্রাণ ওষ্ঠাগত তাদের। তাদের আরো অভিযোগ প্রশাসনও কোনো অজানা কারনে দিনের পর দিন চোখে ঠুঁলি এঁটে বসে রয়েছে। আর এখন তো ভোটের বাহানায় অন্যান্য সমস্ত প্রশাসনিক কাজকর্মই হয়ে গেছে প্রায় বন্ধ। ফলে এই কারখানারগুলির কর্তৃপক্ষরা অবাধে করে চলেছে পরিবেশ দূষণ। এরই একটি খন্ডচিত্র দেখা গেল পানাগড়ে। ভরা চৈত্র মাসে তাই আজ ধোঁয়াশা থুড়ি কুয়াশায় ঘনঘটা।