রাত পেরোলেই ভোট, এদিকে নাকা তল্লাশীর পরিবর্তে রক্ষীরা ব্যস্ত বিশ্রামে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ২৫এপ্রিলঃ
যে কোন নির্বাচনে গন্ডগোল কাণ্ডে বহিরাগত তথ্য উঠে আসে সাধারণত। সেই কারণে সীমান্ত এলাকাগুলিতে নাকা চেকিংয়ে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটের ২৪ ঘন্টা আগে রবিবার পাণ্ডবেশ্বরের অজয় নদীর উপর পঃ বর্ধমান-বীরভূমের সীমান্তবর্তী নাকা চেকিং পোস্টে ছিল সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। বেলা ১১টা নাগাদ চেকিং পোস্টে দাঁড়িয়ে দেখা গেল বীরভূম ও বর্ধমান দুই প্রান্ত থেকে বিনা বাধায় অবাধে যাতায়াত করছে দুই চাকা ও চার চাকা ও বড় গাড়ি। চেকিং এর দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা পোস্টের ঠিক উল্টো দিকে তখন ব্যস্ত কেউ আঁকসি লাগিয়ে আম পারার কাজে, কেউ আবার গাছের নিচে চেয়ারে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। প্রেসের গাড়ি দেখেই অবশ্য পুলিশ কর্মী ও জওয়ানরা সক্রিয় হয়ে উঠলেন তল্লাশির কাজে। গাড়ি দাঁড় করিয়ে ডিকি ও বনেট খুলে চলল তল্লাশি। তল্লাশির কাজ ক্যামেরাবন্দিও করা হলো পুলিশের নিয়োগ করা ক্যামেরাম্যান দিয়ে। কিন্তু রক্ষীদের এই গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ? তাদের এই উদাসীন মনোভাবের কারণে বহিরাগতদের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রও ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এলাকায় বলে মত স্থানীয়দের। এমনিতেই পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রটি এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় ও উত্তেজনা প্রবণ কেন্দ্র। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বোমাবাজি ও তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। তাছাড়া বহিরাগতদের নিয়ে এসে ভোট লুট করার চেষ্টা হতে পারে বলে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের প্রার্থী- ই একাধিকবার একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এরকম সংবেদনশীল একটি কেন্দ্রে তল্লাশিতে রক্ষীদের গাফিলতি কোন প্রভাব ফেলে কি না এখন সেটাই দেখার।