ভোট পরবর্তী হিংসা আটকাতে দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের দফতরে সর্বদলীয় বৈঠক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৫মেঃ
ভোট পরবর্তী হিংসা মোকাবিলায় বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের দফতরে সর্বদলীয় বৈঠক হলো। সিপিআইএম, সিপিআই সহ বামপন্থী দলগুলির পাশাপাশি বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। এই বৈঠকে বিরোধীরা ভোট গণনার পর থেকে রাজ্যের শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাদের পার্টি অফিস দখল ও তাদের কর্মী সমর্থকদের ঘরছাড়া হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয়।
বিজেপির পূর্ব বর্ধমান সদর জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মার অভিযোগ, একদিকে প্রশাসন শান্তির বার্তা দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করছে আর অন্যদিকে তৃণমূলের তান্ডব বাহিনী আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করছে, পাল্টা রাজনৈতিক প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সিপিআইএমও। পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের দাবী অবিলম্বে এই সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব, দলের জেলা নেতা সমরেশ ব্যানার্জীর পাল্টা অভিযোগ, ভোটের আগে বিজেপির সন্ত্রাসের কথা ভোলেনি মানুষ, আর বিজেপির সবটাই মিথ্যে অভিযোগ বলে দাবী এই তৃণমূল নেতার।
দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অর্ঘপ্রসূন কাজী জানিয়েছেন সর্বদলীয় বৈঠকে সব বলে দেওয়া হয়েছে, এরপরেও যদি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে কিন্তু আর হাল্কাভাবে নেবেনা মহকুমা প্রশাসন, কারণ সাধারণ মানুষকে হিংসার বলি হতে দেবে না মহকুমা প্রশাসন।
সব মিলিয়ে এখন বুধবারের সর্বদলীয় বৈঠকের পর পরিস্থিতি কি হয় সেই দিকেই তাকিয়ে সবাই, তবে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের তরফে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে কোনোভাবে ভোট পরবর্তী হিংসাকে আর বরদাস্ত করবে না প্রশাসন।
উল্লেখ্য দুই তারিখ ভোট গণনার পর থেকে শহর দুর্গাপুর জুড়ে বিজেপির বেশ কিছু পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়া হয়,দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, এরই প্রেক্ষিতে শহর দুর্গাপুরের রাজনীতির আবহ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যে অশান্তির আগুনের আঁচ নেভাতেই বুধবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের সাথে নিয়ে সবকটি রাজনৈতিক দলগুলির সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অর্ঘ্যপ্রসূন কাজী।