“যশ” এর তান্ডবে আম চাষের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দুর্গাপুরে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৫মেঃ
রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ”যশ”। আমফান- এর থেকেও যশের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া দপ্তরের। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে এবার আগেই সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পদক্ষেপ। এই তাণ্ডবে আম চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষীরা। তাদের বক্তব্য গতবার আমফানের কারণে আম চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। যশের তাণ্ডবে তাই আতঙ্কিত আম চাষীরা। অন্ডাল ও লাউদোহায় রয়েছে দুটি সরকারি আমবাগান। লিজ নিয়ে সেই বাগানগুলোতে চাষ করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। লাউদোহার তিলাবনি আমবাগানে রয়েছে প্রায় হাজার দেড়েক বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ। গতবছর এমনিতেই খারাপ আবহাওয়ার কারণে অর্ধেকেরও কম মুকুল এসেছিল গাছে। আমফানের তান্ডবে নষ্ট হয়েছিল ফলনও। আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও লিজ হোল্ডারদের। লাউদোহা আমবাগানের লিজ হোল্ডার সেখ বাপি জানান গতবার আমফানের কারণে আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল। এবার ফলন হয়েছে গাছ ভর্তি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে গতবারের ক্ষতি এবার পুষিয়ে যাবে। কিন্তু যশের তাণ্ডবের আগাম সতর্কবার্তা শুনে আমরা আতঙ্কিত। গাছ ভর্তি আম পাকার অপেক্ষায় রয়েছে । দিন দশেক সময় পেলে অাম তোলার কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়ে যাবে। কিন্তু ঝড় শক্তিশালি হলে ঝড়ে যাবে ফলন। ঝরে যাওয়া আমের দাম পাওয়া যায় না। তাই আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান বাপি বাবু। অন্যদিকে কাজোড়ার বাবুপাড়ায় সরকারি আমবাগান দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য বাবলু রুইদাস জানান, গতবার আমের ফলন ভালো হয়নি। তবুও পাঁচ কুইন্টাল ফলন হয়েছিল। এবার দ্বিগুণ আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু যশের তাণ্ডব কিরকম হবে তারপর নির্ভর করছে এবার লাভ-ক্ষতি। অনেকের রোজগার যেহেতু আম বাগানের উপর নির্ভরশীল তাই সবাই আতঙ্কে রয়েছে বলে জানান বাবলু বাবু। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয় তা অবশ্য ”যশ”- পরবর্তী সময়েই বোঝা যাবে।