পানগড়ে লোকলয়ে বাড়ছে ময়ূরের আনাগোনা, কারন নিয়ে চিন্তিত পরিবেশ কর্মীরা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(কাঁকসা), ১৯ জুলাইঃ
চোরাশিকারিদের উৎপাত নাকি খাবারের অভাব, লোকালয়ে ময়ূর আসা নিয়ে আশংকা পরিবেশ কর্মীদের।
পানাগড় গ্রাম এবং তার আশেপাশের এলাকায় কয়েকদিন ধরেই একাধিক ময়ূরকে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে কখনো বাড়ির ছাদে আবার কখনো জঙ্গলে। এভাবে এলাকায় ময়ূর আসাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিবেশ কর্মীদের আশংকা হয় চোরাশিকারিদের উৎপাতে কিম্বা খাবারের অভাবেই এভাবে ময়ূর লোকালয়ে এসে পড়ছে। তবে বনবিভাগের বক্তব্য যে ময়ূরের প্রজনন বেশি হয়েছে তাই এভাবে দেখা যাচ্ছে ময়ূরকে।
পানাগড় গ্রামে মাঝে মাঝেই দেখা মিলছে ময়ূরের। তবে এটি ময়ূরী এবং এর একটি পায়ে আঘাত থাকার জন্য হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। সোমবারও দেখা যায় ময়ূরটিকে। কয়েকদিন আগে সাহেবপাড়া আদিবাসী গ্রামে একটি ময়ূর দেখা গিয়েছিল।
অনেকেই মনে করছেন দেউল পার্কে ময়ূর রয়েছে হয়তো সেখান থেকেই চলে আসছে। আবার অনেকেই মনে করছেন আউশগ্রাম এলাকায় রয়েছে গভীর জঙ্গল আর সেখানে কোনভাবে ময়ূরের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে আর তাই লোকালয়ে চলে আসছে খাবারের খোঁজে।
পানাগড় গ্রামের বাসিন্দা তথা পরিবেশ কর্মী প্রকাশ দাস বলেন “ এভাবে তিনি কোনদিন লোকালয়ে ময়ূর ঘুরতে দেখেননি। কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে এদের লোকালয়ে”। এই পরিবেশ কর্মীর মতে “ ময়ূর নিশ্চিতভাবে সংখ্যায় বেড়েছে আর সেটা খুব খুশীর খবর। কিন্তু ঘন জঙ্গল ছেড়ে এভাবে লোকালয়ে আসার পিছনে হয় খাবারের অভাব কিম্বা চোরাশিকারিদের উৎপাতে এরা লোকালয়ের ভিতরে চলে আসছে আর এটা বনবিভাগের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিৎ”। লোকালয়ে এদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে এই প্রথম। এইসব ময়ূর আসছে কোথা থেকে? এরাও কি তবে বিপন্ন? লোকালয়ের দিকে এলে মানুষের হাতে এদের মৃত্যু ঘটবে না তো? প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা।
পানাগড় বন বিভাগের রেঞ্জার সুভাষ চন্দ্র পাল বলেন “ আজ বনদপ্তরের কর্মীরা গিয়েছিল কিন্তু ময়ূর উড়ে যাওয়ায় তারা ধরতে পারে নি”। এই আধিকারিক বলেন সংখ্যায় বেড়েছে এবং সম্ভবত পুরুলিয়া থেকে উড়ে উড়ে চলে আসছে।