লকডাউনে এবার দুর্গাপুরবাসীর পাতে বন্ধ হতে চলেছে মাছের জোগান
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২৩এপ্রিলঃ
দুর্গাপুরে মাছে ভাতে বাঙ্গালীর পাতে এবার মাছের আকাল দেখা দিতে চলেছে। সৌজন্যে লকডাউন। লকডাউন চলাকালীন বন্ধ থাকবে মাছের আড়ত, সিদ্ধান্ত নিলেন বেনাচিতি বাজারের পাইকারী মাছ বিক্রেতারা। মাছের জোগানে ভাটা সাথে ক্রেতাদের অতিরিক্ত ভিড়ের কারনে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে বাঁচতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তাঁরা।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বেনাচিতির ওই মাছের বাজারে খুচরো মাছ বিক্রেতাও সাধারন ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল পুলিশকে। মানা হচ্ছিল না সামাজিক দুরত্ব। ফলে মাছের পাইকাররা খুব ভয়ে ভয়ে ছিলেন। কারন তাদের বহু মানুষের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছিল। সেই ভয়ে বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে চাইছিলেন পাইকারী মাছ বিক্রেতারা। কিন্তু পুলিশ বার বার তাদের অনুরোধ করে যে বাজার বন্ধ না করতে কারন তাতে মানুষজনের খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এরপরেও দিন দিন নিয়ন্ত্রণহীন ভিড়ের কারনে বাজারে করোনার সংক্রমনের আশঙ্কা বেড়েই যাচ্ছিল। এভাবে চলতে থাকলে তারাও বিপদে পড়তে পারেন। তাই তাঁরা আজ বৃহস্পতিবার থেকে বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। ৩মে অর্থাৎ দ্বিতীয় দফার লকডাউন পর্যন্ত্য বন্ধ থাকবে মাছের আড়ত।
এদিকে লকডাউন শুরু পর থেকে বেনাচিতি বাজারের এই মাছের আড়তের উপর নির্ভর করে চলছিল শুধুমাত্র দুর্গাপুর নয়, আসানসোল, রানীগঞ্জ, পান্ডবেশ্বর আরো বিভিন্ন জায়গার খুচরো মাছ বিক্রেতারা। এখন এই আড়ত বন্ধ করে দেওয়ায় বেশ বিপাকে পড়তে চলেছেন এই এলাকার খুচরো মাছ বিক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারন ক্রেতারা।