রোহনের আত্মহত্যার পরে পুলিশী তৎপরতায় দুর্গাপুরে উদ্ধার প্রচুর বন্ধকী বাইক

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৫ আগস্টঃ
দুর্গাপুরে সুদ কারবারীদের হাতে অপমানিত হয়ে আত্মঘাতী হয় কলেজ পড়ুয়া রোহন দাস। ঘটনার পরেই উত্তাল হয়ে উঠেছে শহর। এদিকে রোহনের পরিবারের তরফে থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। মূল অভিযুক্তরা এখনও ধরা না পড়লেও দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। সাথে বে-আইনী সুদ কারবারীদের বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ বেশ কয়েকটি বন্ধকি বাইক উদ্ধার করেছে।
অপরদিকে, রোহনের আত্মহত্যার ঘটনার পরে বেশ কয়েকজন সুদ কারবারীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশী চলছে বলে পুলিশ সুত্রে খবর।
প্রসঙ্গতঃ দুর্গাপুরে বেশ মাথা নাড়া দিয়েছে সুদ কারবার। বিশেষ করে করোনার জেরে লকডাউনের কারনে অনেকে আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। এমতবস্থায় তাদের অনেকে সুদ কারবারীদের পাল্লায় পড়ছেন। এরকমই এক সুদ কারবারীর থেকে চড়া সুদে লক্ষাধিক টাকা ঋণ নেয় রোহনের দাদা রাহুল। কিন্তু সেই টাকা শোধ করতে না পারায় রাহুলের পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সাথে সমানে হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এদিকে পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যায় রোহনের দাদা। ফলে রাহুলকে না পেয়ে মঙ্গলবার যখন বাড়িতে রোহন একা ছিল তখন জনা তিরিশেক লোকজন রোহনদের বাড়িতে চড়াও হয়ে রোহনকে মারধর করতে শুরু করে। তবে সেই সময় রোহনকে প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে। এরপরেই অপমানিত রোহন ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এলাকায় রোহন খুবই ভাল ছেলে বলে পরিচিত ছিল। সম্প্রতি এমবিএ পাশ করে কলকাতায় এই বেসরকারী ব্যাংকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে যাওয়ায় শোকে ভেঙে পড়েছে রোহনের পরিবার।