বচসা থেকে হাতাহাতি, শেষে ছুরিকাঘাতে খুন দুর্গাপুরে,

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৩ আগস্টঃ
কাজে দেরিতে আসার প্রতিবাদ করাতে দুই মুটিয়ার মধ্যে বচসা,যার জেরে মৃত্যু হলো একজনের। বিহারের বকতিয়ারপুরের বাসিন্দা ঐ মুটিয়ার নাম যোগেন্দর রাম বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।অভিযুক্ত কাজু রাম পলাতক।দুর্গাপুরের সেন মার্কেট বাজারের এই ঘটনায় এখন পুলিশ অভিযুক্ত কাজু রামকে খুঁজছে।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। প্রায়শই মদ খেয়ে কাজে দেরিতে আসতো কাজু রাম, আর এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল বছর পঁয়তাল্লিশের যোগেন্দর রাম।সেদিন দুজনের মধ্যে দু চার কথা হতে হতে যোগেন্দরের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় কাজু রামের। সেন মার্কেটের পাইকারি বাজারের সবজির আড়তদার সাগর সাহার দোকানের সামনেই দু’ জনের মধ্যে হাতাহাতি হতে হতে বস্তা কাটার ধারালো ছুরি চালিয়ে দেয় কাজু,আর সেই ছুরি এসে লাগে যোগেন্দরের পেটে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় যোগেন্দরকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার সকালে তাকে বিধাননগরে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় যোগেন্দরের।খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কোকওভেন থানার পুলিশ। ছুটে আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি(পূর্ব) ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়।এখন পুলিশ এক সবজি আরতদারের দোকানে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি(পূর্ব) ধ্রুৱজ্যোতি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,অভিযুক্ত পালিয়ে গেছে,ঘটনার তদন্তর সাথে সাথে দুষ্কৃতীর খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁরা।
মৃত যোগেন্দরের ভাই ভীম রাম অভিযুক্তের শাস্তি দাবী জানিয়েছে। বিহারের একই গ্রামে থাকতো যোগেন্দর ও কাজু রাম।কাজুকে বিহার থেকে কাজে দুর্গাপুরে নিয়ে এসেছিল যোগেন্দর।পুলিশ মৃতদেহর ময়না তদন্তর জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।