১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হল মুম্বাই ফেরত দুর্গাপুরের একটি পরিবারকে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ৩০এপ্রিলঃ
একদিকে খুশির হাওয়া শিল্পাঞ্চলে কারন মলানদিঘির করোনার বিশিষ্ট হাসপাতালে যে তিনজন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন তাদের আজ সম্পূর্ণ সুস্থ ঘোষণা করে বাড়ি পাঠানো হল। আবার অন্যদিকে এই শিল্পাঞ্চলের সগড়ভাঙ্গা কলোনীর বাসিন্দা মুম্বাই থেকে চিকিৎসা করিয়ে ফেরা একটি পরিবারকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠালো কোকওভেন থানার পুলিশ। ফলে সামান্য হলেও একটু আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীদের আস্বস্ত করা হয়েছে যে ওই পরিবারটি সম্পূর্ন পুলিসী নজরদারিতে থাকবে, তাই এই বিষয়ে ভীত হওয়ার দরকার নেই।
জানা গেছে, সগড়ভাঙ্গার এ ব্লকের ১৭ এক্স কোয়ার্টারে বসসবাসকারী পরিবারের এক সদস্য তাঁর স্ত্রীর ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার জন্য মুম্বাই গেছিলেন মাস দুয়েক আগে। কিন্তু চিকিৎসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও দেশে আচমকা লকডাউন শুরু হওয়াতে তাঁরা সেখানে আটকে পড়েন। এরপর তাঁরা অ্যাম্বুলেন্সে করে গত ২৮ এপ্রিল দুর্গাপুরে ফিরে আসেন। এখানে ফেরার পর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, সাথে পুলিশ তাদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এরপরেও ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা ভীতি তৈরী হয় ওই পরিবারটির মুম্বাই থেকে ফেরাকে কেন্দ্র করে। যদিও পুলিশের তরফে বলা হয়েছে যে ওই পরিবারটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাঁরা সম্পুর্ণভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলবে আর পুলিশের পক্ষ থেকে ওই পরিবারের জন্য বাজার করে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রতিবেশিদের বক্তব্য যে মুম্বাই থেকে আগত ওই ব্যাক্তির সাথে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েও ছিল যারা ওই কোয়ার্টারে থাকছেন। সাথে ওই কোয়ার্টারে ওই ব্যাক্তির বাবা মা সহ তাঁর ভাই ওই ভাইয়ের পরিবারও থাকে। ওই ব্যাক্তির ভাই একজন ব্যাবসায়ী আর ব্যবসার প্রয়োজনে তাঁকে বাইরে বেরোতে হবে। তাতে সমস্যা তৈরী হতে পারে। তাই পুলিশ সমস্ত দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে ওই পরিবারের শুধু তিনজন নয়, সকল সদস্যদেরই ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। পুলিশের এই সিদ্ধান্তে আপাতত স্বস্তি সগড়ভাঙ্গা কলোনীর বাসিন্দাদের।