দুর্গাপুরে গ্রেফতার ভিন জেলার দাগী আসামী সহ এক ছিনতাইবাজ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১১ জুনঃ
দুর্গাপুরে হার ছিনতাইয়ের ঘটনায় একের পর এক সাফল্য। একই দিনে তিনটি হার ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইনসাফ আনসারীর পর এবার দুর্গাপুরের নবপল্লীতে সোনার হার ছিনতাইয়ের ঘটনায় সফলতা পেলো দুর্গাপুর থানার পুলিশ। দুই অভিযুক্তকে ধুনরা প্লট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। ধৃতরা হল মহঃ সুলতান ও লক্ষ্মী সাহানি, বীরভুমের বোলপুরের বাসিন্দা।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার বাসিন্দা তাপসী শনিগ্রাহী দুর্গাপুরের নিবাদিতা প্লেসে মেয়ে জামাইয়ের বাড়ি বেড়াতে আসেন মে মাসে। ২৬ মে বিকেল জে কে পাল লেনের গোয়েল গলি দিয়ে যখন মেয়ে ও নাতনির সাথে নাতনির নাচের ক্লাসে যাচ্ছিলেন সেই সময় অভিযুক্ত ,মহঃ সুলতান ও লক্ষ্মী সাহানী বাইকে করে এসে তাপসীদেবীর গলার হার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ-জোন ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাপসীদেবী। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তাপসীদেবীর বর্ণনা অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে লক্ষ্মী সাহানী কারন এর আগে লক্ষী সাহানি দুর্গাপুরে বিভিন্ন থানা এলাকায় একটি নীল রঙের বাইকে চড়ে নানা অপরাধ সংগঠিত করেছে। এরপর সোমবার রাতে ওই দুই অভিযুক্ত যখন ধুনরা প্লট এলাকায় ওই নীল বাইকে করে যাচ্ছিল সেই সময় সেখানে উপস্থিত তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার লক্ষ্মী সাহানিকে দেখে চিনতে পারে। সাথে সাথে তাঁরা অভিযুক্তদের পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে।
প্রসঙ্গতঃ লক্ষী সাহানি একজন দাগী আসামী। বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ যেমন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, এমনকি খুনের ঘটনার সাথে এর নাম জড়িত রয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বেনাচিতি বাজারে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের এটিএমের নিরাপত্তারক্ষীকে ধারালো চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করেছিল যে দুষ্কৃতি সে ছিল লক্ষ্মী সাহানি বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়াও দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানা এলাকায় ডাকাতির ঘটনা সহ আরো একাধিক দুষ্কৃতিমূলক ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন থানায় নাম রয়েছে।
ধৃতদের মঙ্গলবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। মহঃ সুলতানকে ৬ দিনের পুলিশী হেফাজত ও লক্ষ্মী সাহানিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতরা গতকাল কোনো অপরাধ সংগঠতি করতে যাচ্ছিল যা পুলিশের তৎপরতায় ভেস্তে যায়। পুলিশী জেরায় দুজন স্বীকার করেছে তাঁরা তাপসীদেবীর হার ছিনতাই সহ আরো নানা অপরাধ করেছে বলে পুলিস সুত্রে খবর।