অস্ত্রপচারের পরেই কিশোরের মৃত্যু! ফের কাঠগড়ায় সিটিসেন্টারের বেসরকারী হাসপাতাল
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৯ জুনঃ
হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে মৃত্যু হল এক কিশোরের। চিকিতসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজনেরা। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
দুর্গাপুরের রাঁচী কলোনীর বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণীর সোম রুইদাস(১৩) গত ১৭ জুন নাকে মাংসপিন্ড জমে যাওয়ায় দরুন চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয় সিটিসেন্টারে একটি বেসরকারী হাসপাতালে। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় সোমের।
সোমের কাকা হেমন্ত রুইদাস বলেন, “ভর্তির পরের দিন অস্ত্রপচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে ১৯ তারিখ পরিবারের সাথে কোনো কথা না বলেই সোমের অস্ত্রপচার করে দেয়। অস্ত্রপচার করে নাক কান বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল মুখার্জি ও অ্যনাথেটিক্স রাজদীপ সরকার। তারপরেই সোম কোমায় চলে যায়। এরপর আজ সকাল ১১টা ৪০ নাগাদ হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় সোমের মৃত্যু হয়েছে সোমের। হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সোমের পরিবার। ”
এ বিষয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে শতদল দত্ত বলেন, “রোগীকে অপারেশন টেবিলে দেওয়ার সাথে সাথেই প্যানিক অ্যাটাক করে, যার থেকে কার্ডিয়াক অ্যাটাকের দিকে চলে যায়। এরপর তাঁকে সুস্থ করে তবে অস্ত্রপচার করা হয়। কিন্তু তারপরেও কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছিল। রোগীর মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমে গিয়েছিল। এরপরেও মেডিক্যাল বোর্ড করে ওই রোগীকে সুস্থ করার চেষ্টা করেও আমরা তাঁকে বাঁচাতে পারিনি। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে রোগীর পরিবারের তরফে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সে বিষয়টির খতিয়ে দেখে সত্যতা প্রমান হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে ঘটনার পর হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিত সামাল দিতে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে পাওয়া যাচ্ছে না বলে রোগীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতাল নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করছেন যে এদিনের ঘটনা প্রথম নয়। প্রায় দিনই এই হাসপাতালে ঘতছে এরকম রোগী মৃত্যুর ঘটনা। ফলে এই হাসপাতাল্কে ঘিরে রোগী ও রোগীর পরিজনদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।